Meditation বা ধ্যান খুবই প্রচলিত অভ্যাস, তবে কিছু প্রাথমিক ভুলের জন্য বেশির ভাগ মানুষ মেডিটেশন করলেও এর উপকার থেকে সম্পুর্ন বঞ্চিত । তাই আজই জেনে নেব মেডিটেশন করার ১০টি নিয়ম যা থেকে ছোট ছোট না জানা ভুলগুলিকে কে শুধরে নেওয়া সম্ভব
1. প্রস্তুতি পদ্ধতি:
প্রথম নিয়ম প্রস্তুতি পদ্ধতির ক্ষেতে বা মেডিটেশন শুরু করার আগে নিজেকে রিল্যাক্স বা সঠিক স্থিতিতে আসার সময় দেওয়া অতি প্রয়োজন।
এর কারণ অস্থির মন আপনাকে ধীরে ধীরে অধৈর্য ও মন অতি চঞ্চল করে তুলবে প্রতি মিনিটে, এ অবস্থায় ধ্যান প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেও পূর্ণ শান্তি, সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব না।
তাই অবশই নিজের বডি রিল্যাক্স ও ব্যালান্স করার প্রতি সবার প্রথমে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। যার দ্বারা সহজে বিনা কোন সমস্যা মন স্থির বা কেন্দৃভূত করা সম্ভব।
নিজের বডিকে রিল্যাক্স ও ব্যালান্স করার সবচেয়ে সরল সমাধান হল গভীর ভাবে শ্বাস গ্রহণ করা
2. বিশ্বাস:
ধ্যান বা মেডিটেশন থেকে শুরু করে সমস্থ রকমের সাধনা ও আধ্যাতীক পদ্ধতির ভীত হল বিশ্বাস। কারণ আমাদের সম্পুর্ন বিশ্বাস ছাড়া কোন কাজের পূর্ণতা অর্জন কোন প্রকারে সম্ভব না।
এবং ধ্যান প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মানুষ যে বড় ভুলটি করেন তা হল অবিশ্বাস সাথে রোজ মেডিটেশন প্র্যাক্টিস করা, যা আসলে করা আর না করা সমান।
তাই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল যখনই ধ্যান বা মেডিটেশন প্র্যাক্টিস শুরু করুন না কেন সম্পুর্ন বিশ্বাস ও ভরসার দ্বারাই করুন , তবেই ধ্যান প্রক্রিয়া স্বয়ং সম্পুর্ন রূপে সফল হবে এবং তার সম্পুর্ন উপকার পাওয়া সম্ভব হবে ।
3. সঠিক ভাষার প্রক্রিয়া:
ধ্যান বা মেডিটেশন বেশির ভাগ মানুষ প্রথম যে বড় ভুলটি হল নিজের দৈনন্দিন বলার ভাষা বাংলা কে ছেরে অন্য ভাষায় মেডিটেশন প্রক্রিয়া অভ্যাস শুরু করা।
অন্য ভাষার প্রক্রিয়াতে ভুল কিছু নেই, সমস্যা হল মস্তিষ্কের চিন্তা ও গ্রহণ শক্তির উপর যা নিজের ভাষা কে যত খুব সহজে গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
এটি অন্য ভাষার প্রক্রিয়ার সাথে অতটা সহজ হয়না কারণ মস্তিষ্ক সহজে তাল মিলিয়ে উঠতে পারে না, যা ধ্যান কেন্দ্রে বাধা হয়ে দাড়ায়। তাই সব সময় যে ভাষা আপনি ভাল বোঝেন সেই ভাষাতে মেডিটেশন কোর্স শিখুন।
4. সময় সীমা:
মেডিটেশন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই, কারণ সম্পুর্ন প্রক্রিয়াটি আপনার উপলব্ধির উপর নির্ভরশীল।সবার উপলব্ধি মাত্রা ও উপলব্ধির গভীরতা সমান হতে পারে না, তাই ধ্যান প্রক্রিয়ার সময় সীমা নির্ধারন করা সম্ভব না।
এবং তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল নিজের ধ্যান বা মেডিটেশন অভ্যাসের কোন বাধা ধরা সময় একদমই নির্ধারন না করা, কারণ
সঠিক ভাবে ধ্যানের বা মেডিটেশন গভীরে প্রবেশ করলে, সময় সীমার অনুভুতি বিলীন হয়ে যায় তাই এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।
5. দেহ ভঙ্গি বা আসন:
আমাদের শরীর ধরে নিন অনেকটা জলের পাইপের মত, যদি পাইপের মাঝে কোন ব্লক বা বাধা থাকলে জল যেমন এক দিক থেকে আরেক দিকে পৌছতে পারে না।
ঠিক একি রকম ভাবে ভুল ভঙ্গিতে মেডিটেশন করার সময় শরীরে এনার্জি প্রবাহ রুদ্ধ হয়, এবং শরীরের সর্বত্র এনার্জি পৌছতে পারে না।
আর এই এনার্জি প্রবাহের বড় মাধ্যম হল মানুষের মেরুদন্ড, যাকে মেডিটেশনের ভিত বলা হয় যার উপর নির্ভর করে ধ্যান প্রক্রিয়ার গভীরতা ও উপলব্ধি । তাই মেডিটেশনের সময় নিজের মেরুদণ্ড কে সম্পূর্নূ কোন সাপোর্ট ছাড়া সোজা করে রাখা উচিত।
এবং মেডিটেশন বা ধ্যান নির্দিষ্ট আসন দ্বারা সম্পুর্ন করা উচিত, যেমন – সুখাসন, পদ্মাসন এবং বজ্রাসন ইত্যাদি যা গভীর রূপে ধ্যানস্ত হতে সাহায্য করে।
6. হতের অবস্থান বা মুদ্রা:
মেডিটেশনের সময় হাত ও গুরুত্তপূণ ভূমিকা পালন করে যা অনেকেই জানেন না, যার ফলে না জেনেই একটি ভুল করে বসেন হাত কে ভুল স্থিতিতে রেখে।
কারন আমাদের হাত বা হাতের ভঙ্গি আমাদের শরীরের বিভিন্ন এনার্জি সিষ্টেম কে অ্যাক্টিভ করতে সক্ষম, এবং সঠিক ভঙ্গি দ্বারা আমাদের ধ্যানের গভীরতা কে দিগুন করা সম্ভব।
সঠিক নিয়ম অনুজাই মেডিটেশন বা ধ্যানের সময় নিজের হাত কে ধ্যান বা জ্ঞান মুদ্রায় রাখা বা উপুড় করে হাতে তালু কে উপরের দিকে করে রাখা উচিত। এতে নিশ্বাস প্রশ্বাস ব্যালান্স হয় ও শরীরের মধ্যে সঠিক ভাবে এনার্জি প্রবাহিত হয়।
7. অনুভব ও অনুভুতি:
ধ্যান বা Meditation কোন কাল্পনিক বা দৈব কোন জগতের অনুভুতি প্রাপ্তি নয়। মেডিটেশনের মূল লক্ষ্য বর্তমান ও অভ্যন্তরীন বাস্তবীক স্থিতিকে অনুভব করার স্ব্য়ং সম্পুর্ন প্রচেষ্ঠা পদ্ধতি।
তাই বাস্তবীক জীবনের বাহিরে কাল্পনিক কিছুর অনুভব প্রচেষ্ঠা শুধুই সময় নষ্ট মাত্র।
8. অন্বেষণ বা এক্সপ্লোর:
ধ্যান প্রক্রিয়ার অন্যতম নিয়ম হল নির্দিষ্ট guidance দ্বারা ধ্যান প্রক্রিয়া কে explore করা। দেখুন মেডিটেশন কোন অঙ্কের বই এর ফর্মুলা নয়, এটি আত্ম অনুসন্ধান ও উপলব্ধির পথ।
এই পথে প্রতীক কে নিজেকে ও নিজের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা সমস্থ সম্ভাবনা কে এক্সপ্লোর করতে সঠিক guidance ও সঠিক গুরুর প্রয়োজন।
Meditation প্রথম স্তর যেমন শেখা ওএর দ্বিতীয় ধাপ হল নিজেকে এক্সপ্লোর করতে ভয় না পাওয়া, কারণ সত্য কে উপলব্ধির জন্য সময় মানুষের কাছে খুবই সীমিত।
9. মোবাইল ও হেড ফোন কম ব্যবহার:
আমরা আমাদের অনলাইন মেডিটেশনের শেখার প্রথম পর্যায়ে মোবাইল ও হেড ফোন ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু সমস্যা হল এই ধ্যান একটি অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া যা সম্পুর্ন যা বাহিরে উদীপনা থেকে বিছিন্ন প্রক্রিয়া ।
তাই নিয়ম অনুজাই ধ্যান অভ্যাসে ক্ষেতে প্রথমের দিকে মোবাইল ও হেড ফোন ব্যবহার করা হলেও পরের দিকে এক দম না ব্যবহার করাই ভাল। এতে একমাত্র সম্পুর্ন রূপে এফেক্ট পাবেন।
10. চিন্তা শূন্য প্রচেষ্টা:
মেডিটেশন মানে অনেকে ভাবেন মস্তিষ্ক কে চিন্তা শূন্য করার প্রচেষ্ঠা ও এই বৃথা প্রচেষ্টা প্রতি দিন করে চলেছেন বহু মানুষ, যা সম্পুর্ন সময় নষ্ট ।
মেডিটেশন একটি দিক হল নিজের চিন্তা ভাবনা গুলিকে সঠিক দিশা প্রদান করা, চিন্তা শূন্য করা নয়। তাই চিন্তা শূন্য প্রচেষ্টা ছেড়ে নিজের মেডিটেশন প্রক্রিয়ার সাথে নিজের চিন্তা গুলি সঠিক দিশা দেওয়া।
আপনার মূল্যবন্য সময় দিয়ে এই ব্লগটি পড়ার জন্য Wisdomcue.com টীমের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
আপনার Meditation সম্পর্কে কোন Guidance প্রয়োজন হলে বা কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের ফোন বা Whatsapp করুন +91-9433-657-349 এই নুম্বেরে।
আপনারা যদি কেউ অনলাইনে বাংলাতে সম্পুর্ন সঠিক মেডিটেশন শিখতে চান তবে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
বিশদ জানতে Call করুন +91-9433-657-349 বা Email করুন Contact@wisdomcue.com