Diabetes বা সুগার কী ধরনের রোগ ?
Diabetes বা সুগার হল এক ধরনের ক্রনিক (Chronic illness) রোগ, অর্থাত্ এটি বাহিরের কোন জীবাণু বা bacteria দ্বারা ঘটিত রোগ নয়। এটি শরীরের মধ্যে তৈরি একটি ছোট রোগ। এই Chronic illness তখনি সৃষ্ঠী হয় যখন শরীরের গঠন তন্ত্র নিজের মধ্যে ভারসাম্য হীন হয়ে পরে।
তবে এই সব রোগের ক্ষেত্রে Medical Treatment করার Problem হল সুগারের বর্তমান পরিস্থিতি উপর ওষুধের সাহায্যে সামান্য কন্ট্রোলের করা।
কিন্তু এতে সমস্যার মূলে পৌছে তার চির সমাধান হয় না, শুধু কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতির সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।
তাই এই সব সমস্যার মূলে পৌছে পূর্ণ সমাধানের জন্য বিশেষ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেমন Yoga, pranayam, meditation ইত্যাদি।
বর্তমানে নানা দেশী ও বিদেশী মেডিকেল সংগঠন নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মধ্যমে এই বাপরে সম্মতি ও দিয়েছেন।
ডাক্তারা দেখেছেন যে সব্ মানুষের 6 সপ্তাহ ধরে যোগ অভ্যাস করছে তাদের শরীরে সুগার লেভেল একদম নরমাল এবং pancreas ফাংশান অনেক ভাল বিনা কোন বিশেষ ঔষধে ও কোন পার্স প্রতিক্রিয়ায।
তাই আজ জেনে নেবো 9টি বিশেষ যোগ আসন সম্পর্কে যা সুগারের জন্য অন্যতম।
9 Yoga For Diabetes :
1. ধনুর আসন (Dhanurasana):
ধনুর আসন অর্থাত্ ধনুকের আকৃতিতে বডির স্ট্রেচ, সধারণত এই আসন টি একটু শক্ত তবে কিছু দিন অভ্যাস মাধমে সরল হয়ে যায় এই আসন।
এই আসন আমাদরে endocrine gland কে উদ্দীপিত করতে শরীরের ইনসুলিন ও নানা হরমোনের সমতা আনতে সাহায্য করে।
আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা বেছে নিন ও সম্ভব হলে মেঝের উপর কিছু পেতে নিন। তার পর বুকের উপর ভর দিয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন, হাত লম্বা ভাবে মাথার দিকের ও পা সমান ভাবে বিনা কোন গ্যাপ দিয়ে লম্বা ভাবে ছড়িয়ে রাখুন।
এর পর পা দুটি হাটু থেকে ভাজ করুন ও ধীরে ধীরে মাথার দিকে নিয়ে আসুন লক্ষ রাখবেন পায়ের মধ্যে বেশি গ্যাপ না হয় ও পেট যেন মাটিতে স্পর্শ করে থাকে।
এবার মাথার পিছন দিক হাত দুটি স্ট্রেচ করে নিয়ে আসুন ও পায়ের বুড়ো আঙুল কে স্পর্শ করুন।
উপকারিতা:
যারা দীর্ঘ দিন সুগার নিয়ে ভুগছেন ও হাতে পায়ে জোর পান না কাজের সময় তারা এই আসনটি করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
এই আসন শরীরের প্যাংক্রিয়াস(pancreas) এর হরমোন উত্পাদন ব্যালান্স ঠিক রাখে , শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরীরে নমনীয়তা আনে।
2. গুপ্ত পদ্মাসন (Gupta padmasana ):
যোগীরা বলেছেন এই গুপ্ত-পদ্মাসন সর্বরোগ নিরাময় আসন। যা শরীরের সুগের লেভেল, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি থাকে শুরু করে শরীরের cholesterol সব কিছুর ব্যালান্স সঠিক করে।
আসন পদ্ধতি:
প্রথমে মুক্ত-পদ্মাসন বসুন তারপর হাতের সাহায্যে শরীরকে সামনে দিকে টানুন যতটা সম্ভব আস্তে আস্তে আপনার চিবুক মেঝেতে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।
মেঝেতে পুরোপুরি লম্বা আসন অবস্থায এবং পুরো শরীরটি রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন। নিজের দুটি হাতকে পিছনে নিয়ে প্রণাম করার মত হাত জড়ো করুন।
আস্তে আস্তে শ্বাস নিন এবং এই অবস্থানটি কিছু সময়ের জন্য ধরে রাখুন ২০ সেকেন্ড এর জন্য তারপরে আস্তে আস্তে প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: এই আসন ইনসুলিন থেকে শুরু করে অদ্রিনালিন, কোডেসল হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে.
3. অর্ধ মৎসেন্দ্র (Ardha Matsyendrasana):
আসন পদ্ধতি:
প্রথমে এয়াকটি সমতল যায়গা তে বসুন। গভীর ভাবে ৫টি নিশ্বাস নিন। তার পর পা জোর করে বসুন , তার পর সুবিধা মত ডান পা একই অবস্থা রেখে বা পা ডান হাটুর কাছে নিয়ে যান।
এবার নিজের শরীর কে বা দিকে twist করুন ও আপনার ডান হাত বা পায়ের হাটু তে রাখুন ও বা হাত মাটিতে রাখুন ।
যতটা সমভব মারুদণ্ড সোজা রাখুন ও গভীর নিশ্বাস নিন। তার পর আবার পা ও হাত পাল্টে এআই আসন টি ৫ থেকে ৬ প্র্যাক্টিস করুন।
উপকারিতা :
এই আসন আমাদের সুগার কনট্রোল করেতে ও বডির স্ট্রেস হরমোন নরমাল রাখতে সবচেযে বেশি সাহায্য করে।এর ফলে শরীর যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের ভারসাম্য বজায় রাখে নির্দিষ্ট ভাবে।
4. চক্রাসন (Chakrasana):
আসন পদ্ধতি:
প্রথমে আপনি শুয়ে পড়ুন একটি সমতল যায়গাতে শবাসনে, ও নিজের পায়ের মধ্যে যেন খুব সামান্য ফাক থাকে এবং নিজের হাত মাথার উপর দিকে থাকে।
এর পর পা হাটুতে থেকে ভাজ করুন আস্তে আস্তে বডি কে উপরে দিকে তুলুন।এবং হাতের তালুর সাহায্যে বডির উপরের অংশ তুলুন ও যতটা সম্ভব হাত কে পায়ের দিকে প্রসারিত করুন।
যাতে শরীর একটি চক্র আকার ধারন করে এই পজিশনে গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন। এবং এই পজিশনে 20 তাকে 30 হোল্ড করুন বডিকে।
উপকারিতা:
এই আসন আমাদের স্পাইন ও পেটের মাসেল কে স্ট্রেচ করতে ও শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা কম করতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
এছাড়াও বডির স্ট্রেস হরমোন ও অক্সিজেন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং হার্ট প্রোব্লেম থেকে মানুষ কে দূরে রাখে এই আসন। এই আসন সুগার থেকে হাত ও পায়ের কমজোর ভাব ও শরু হয়ে যাওয়া সমস্যা কাটাতে খুব সাহায্য করে বিনা কোন ওষুধে।
5. হ্যালাসন (Halasana) :
যোগর মধ্যে সবচেয়ে এফেক্টিভ আসন হ্যালাসন এই সুগার লেভেল থেকে শুরু করে গ্লুকোষে বার্নিং রেট সমস্থ কিছু কনট্রোল করে।
এই আসন আমাদের বডির গুরুত্ত পূর্ণ অঙ্গ যেমন হার্ট এর রক্ত সঞ্চালন করা ও স্ট্রেস হরমোন কনট্রোল করার মত গুরুত পূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
হ্যালাসন পদ্ধতি:
সবার প্রথম একটি পূর্ণ্য সমতল যায়গা তে শুয়ে পড়ুন, দুটি হাত থাকবে কোমরে দুই পাশে লম্বা ভাবে। দুটি পায়ের মধ্যে যেন কোন গ্যাপ না থাকে, ও যেন পায়ের দুটি বুড়ো আঙুল এক সাথে স্পর্শ করে থাকে।
এবার দুটি হাতের উপর ভর রেখে পা দুটি মাথার পিছন দিকে নিয়ে যান যত টা সম্ভব্ হয় ও মাটিতে স্পর্শ করান । লক্ষ রাখতে হবে পা যেন বেন্ড না হয় ও কোমর যেন মাথার পিছনের দিকে চলে না আসে।
উপকারিতা:
এই আসন পেটের সমস্থ অংশ কে স্ট্রে্চ করে যাতে হরমোন উত্পাদন থেকে শুরু শরীরের প্রয়োজন অনুজাই হরমোন ব্যালান্স করে।
এই আসন সুগার ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরের stiffness কম করে এবং শরীরের মধ্যে ব্যালান্স বজায় রাখে।
6. সেতুবন্ধন আসন (Setubandh asana):
এই আসনের নাম সেতু বন্ধন কারণ এই আসন আমাদের মাইন্ড ও বডির কানেকশেন ও স্ট্রেস মেনেজর জন্য সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা বছে নিন ও লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন। এবার হাটু থাকে পা ভাজ করে নিন ও নিজের দুটি হাত কে শরীরে দুই পাশে লম্বা ভাবে টান টান করে পায়ের দিকে ছড়িয়ে রাখুন।
এবার হাতের উপর চাপ দিয়ে কোমর থাকে শরীর কে উপরে দিকে তুলুন ও হোল্ড করুন নিজের সুবিধা মত।
উপকারিতা:
এই আসন আমাদের nervous সিষ্টেম উদ্দীপনা ও ব্রেন এর মধ্যে রক্তের প্রবাহ সঠিক পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের মধ্যে ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
7. উর্ধ্ব-পদ্মাসন (Urdhva-Padmasana):
সুগারের জন্য অন্যতম আসন উর্ধ্ব-পদ্মাসন, এই আসন সুগার থেকে হওয়া শারিরীক কমজোরি দূর করে এবং হাত রোগ হয়ে যাওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আসন পদ্ধতি:
সবার প্রথমে একটি পরিষ্কার যায়গা খুজে বার করুন ও সমান ভাবে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। ও কোমর থেকে নিচের অংশ কে ভাজ করে মুক্ত-পদ্মাসন এর মত একটি পা অন্য পা এর উপর রাখুন। এবার হাতের উপর ভর দিয়ে পা গুলিকে উপরের দিকে তুলুন ও হোল্ড করুন।
উপকারিতা:
আপনার রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও কোমরের ব্যথার সমসা থাকে চির মুক্তি দেয়। এর সাথে বডি কোডেসল লেভেল ও ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে।
8. ভুজঙ্গ আসন:
এই আসনটি সর্প থেকে অনুপ্রাণিত তাই এই আসনের নাম ভুজঙ্গ আসন, এই আসন শরীরের নমনীয়তা থেকে শুরু করে হরমোন সমস্যার সমাধান ও নানান উপকার সাধন করে।
ভুজঙ্গ আসন পদ্ধতি:
সবার প্রথমে বুকের উপর চাপ রেখে হাত পা সমান করে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আস্তে আস্তে নিজের হাত দিতি ভাজ করে বুকের দুই পাশে রাখুন।
পেটের নিচের অংশ মাটিতে ঠেকিয়ে রেখে হাতে ভর দিয়ে নিজের বুকের অংশ কে মাটি থাকে উপরে তুলুন ও নিজার মুখ কে উপরের দিকে তুলে রাখুন।
উপকারিতা:
এই আসন করলে আপনার lungs এর ক্ষমতা বারে। বুকের বা বুকের পাজর শক্ত করে যাতে আকার গত ভাবে সঠিক হয়।
এছাড়া শরীরে ইনসুলিন হরমোন ব্যালান্স করে, সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই আসন।
আপনার ক্রীয়েটিভ চিন্তা ভাবনা ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও এই যোগ আপনাকে জীবনে লক্ষ স্থির করতে ও সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ।
9. কূর্মাসন:
এই আসন নাম কূর্মাসন কারণ ,এই আসনে আপনাকে দেখতে খোলস থাকা ক্ছপ এর আকাররে মনে হয় তাই এই আসনটির কূর্মাসন।
কূর্মাসন পদ্ধতি:
প্রথমে পা কে লম্বা ভাবে ছড়িয়ে দিন, পা কে এবার ডিম্বাকৃতি করুন।আস্তে আস্তে কোমর থাকে শরীর কে ভাজ করে আপনার মাথা পা এর পাতার কাছে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ঠেকান যত টা সম্ভব ।
এবার পা এর তলা দিয়ে দুটি হাত বার করে কোমর এর পিছনে নিয়ে গিয়ে প্রণাম ভঙ্গিমাতে নিজে কে হোল্ড করুন।
উপকারিতা:
আপনার গাস্টিক, আলসর, কিডনি তে পাথর হওয়া হাত থাকে মুক্তি দেয় এই আসন।আপনার বডির সুগার ও সমস্থ স্ট্রেস হরমোন কে সঠিক ভাবে ব্যালান্স করে এই আসন । এছাড়াও বডির স্ট্রেস হরমোন থাকে শুরু করে মাইন্ড ও বডির কানেকশেন জন্য Meditation খুবই উপকারী।
সুস্থ থাকতে ও আমাদের সমস্থ নতুন article আপডেট পেতে উপরে বা নিচে থাকা Bell Icon ক্লিক করুন
আপনার যদি স্ট্রেস বা ডিপ্রেসান থেকে মুক্তি ও মানসিক শান্তি পেতে চান মেডিটেসনের মাধ্যমে তবে যোগা যোগ করুন +91 9433 657 349 এই নাম্বেরে