হাঁপানি জন্য সেরা 6টি প্রাণায়াম | Asthma pranayama in Bengali

Asthma pranayama in Bengali

Asthma কী?

Asthma এক ধরনের Chronic Disease, যা আমাদের ফুসফুস বা lungs এর শ্বাস বায়ুর আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয় সহজ ভাবে বলতে হলেআমাদের ফুসফুস বা lungs এর মধ্যে থাকা Bronchioles ও Bronchi নামে অতি সুক্ষ সুক্ষ শ্বাসনালীর থাকে যা শরীরে অক্সিজেন আদান প্রদানে সাহায্য করে।

যা বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ( যেমন আলার্জি, ঠান্ডালাগা বা জলবায়ু পরিবর্তনে ইত্যাদী কারণে ) সাধারণের তুলনায় অতিরিক্ত Mucus উত্‍‍পাদন হতে থাকে। যা এই শ্বাস নালি গুলির গতিপথ রোধ করে যার কারণে হাঁপানি বা শ্বাস কষ্ট শুরু হয়।

কিছু ক্ষেত্রে শরীরের বায়ু সঞ্চালন ক্ষমতা একদমই কমে যাওয়া ও নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং কিছু ক্ষেত্রে শরীরের মধ্যে অক্সিজেন supply এতটাই কমে যায় যা সরাসরি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়, এবং ভাবতে অবাক লাগবে প্রতিবছর Asthma গড়ে 2,50,000 লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ হানির কারণ হয়ে দারাছে।  

Asthma চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের দেওয়া ইনহেলার Inhaler খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তবে ওষুধ এই রোগের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান নয়।

কারণ এটি সম্পুর্ন lungs এর সমস্যা, তাই এই রোগের চিরস্থায়ী  সমাধানের উপায় হল lungs এর ক্ষমতা বৃদ্ধি উপায় অবলম্বন করা যা অব্যের্থ উপায় হল প্রাণায়াম। যা শরীরের বিভিন্ন ইমব্যালেন্স এর গোরা থাকে নির্মূল করতে সমর্থ এবং বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত।  

পতঞ্জলি যোগ সুত্রতে কয়েক হাজার প্রাণায়ামের উল্লেখ পাওয়া যায় যার মধ্যে 6 টি প্রাণায়াম asthma বা হাঁপানি সমস্যা ক্ষেত্রে কার্যকর

  • কপাল ভাতি প্রাণায়াম
  • অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম
  • ভ্রামরি প্রাণায়াম
  • ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
  • উজাই প্রাণায়াম
  • চন্দ্রবেদী প্রাণায়াম
Asthma pranayama in Bengali
Asthma pranayama in Bengali

1.কপাল ভাতি প্রাণায়াম (Kapalbhati Pranayama):

কপালভাতি প্রাণায়াম শরীরকে detox করতে এবং শরীরের অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়াতে সাহায্য করে। এছারা এই প্রাণায়াম আমাদের বডির মধ্যে এনার্জি ও ফ্রেশনেস বজায় রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে এবং এই প্রাণায়াম হল সুগারের এর যম বলা হয়।

এছারাও এই প্রাণায়াম আমাদরে ব্রেনের প্রতিটি কোষের মধ্যে অক্সিজেন সঞ্চালন এর মাত্রা থাকে স্ট্রেস লেভেল কমানো ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

কপাল ভাতি প্রণালী:

প্রথমে একটি সমান যায়গাতে বসুন সুখাসন বা পদ্মাসনে একদম মেরুদণ্ড সোজা করে। এবার বা হাত হাটুয়ে উপরে ও ডান হাত পাটের নাভির উপর রাখুন।

এর পর নাক দিয়ে নিশ্বাস নিয়ে বায়ু পেটের মধ্যে নিন ও পেট কে চাপ দিয়ে নিশ্বাস বাহিরে ছারুন। মনে রাখবেন আপনার শ্বাস প্রণালীর মধ্যে যেন আপনার পেট ও কানেক্ট করতে পারে।এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত করুন যত টা সমভব, এটি 4 থাকে 5 মিনিট প্র্যাক্টিস করুন নিজের সুবিধা অনুজাই।


2. অনুলোম বিলোম  (Anulom vilom):

এই প্রাণায়াম আমাদের শরীরের metabolism ও immunity সঠিক ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করে, এবং শরীরকে বিভিন্ন এলার্জির হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও অনুলোম বিলোম শরীরের  মধ্যে থাকা দুটির প্রধান নাড়ির উপর সমতা আনার চেষ্টা করি যাতে আমদের শরীরের শক্তির মধ্যে ব্যালান্স বজায় থাকে।

এর ফলে শরীরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন হরমোন সমস্যা দূর হয় যেমন ইনসুলিন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন যুক্ত রক্তের প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও শরীরের মধ্যে এনার্জি অভাব কে একদম দূর করে।  

অনুলোম বিলোম প্রণালী

প্রথমে একটি সমতল যায়গাতে বসুন, সবচেয়ে উপকার যদি আপনি পদ্মাসনে বসতে পারেন।  তার মেরুদণ্ড সোজা করে মাথা কিছুটা উপরে তুলে গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।আপনার বা হাত আপনার কোলের উপর রাখুন, তার পর ডান হাত দিয়ে নাকের ডান দিক বন্ধ করুন খুব জোরে নয় আস্তে যাতে নিশ্বাস না নিতে পারেন।

তার পর বা দিক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিন ৫ সেকেন্ড হোল্ড করুন। তার পর ডান হাত টা বা দিকের নাকের উপর আনুন ও ডান নাক দিয়ে নিশ্বাস ছারুন।এবার ডান নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন আবার হাত পাল্টে বা দিক দিয়ে নিশ্বাস ছারুন। এই রকম ভাবে 4 থাকে 5 মিনিট প্র্যাক্টিস করুন আপনার সুবিধা মত।


3. ভ্রামরি প্রাণায়াম (Bhramari pranayama) :  

এই ভ্রমরি শব্দটি ভোমর বা মৌমাছির থেকে নেওয়া এই ভ্রমরি শব্দরে অর্থ হল হল ভোমরের বা মৌমাছির মত শব্দ সৃষ্ঠী যা অনেকটা aum বা ॐ প্রকৃতির।

এই প্রাণায়ামের সাহায্যে আমদের ব্লাড সুগার থেকে শুরু করে cholesterol, thyroid প্রতিটি সমস্যার সমাধান প্রদান করে। শরীরের স্ট্রেস হরমোন কমায় instantly কমায় এবং মাইন্ড কে শান্ত ও focused বানায়।  

ভ্রমরি প্রাণায়াম প্রণালী:

প্রথমে একটি সমতল যায়গাতে বসুন সুখাসনে, সবচেয়ে উপকার যদি আপনি পদ্মাসনে বসতে পারেন। তার মেরুদণ্ড সোজা করে মাথা কিছুটা উপরে তুলে গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।এবার দুটি হাত তর্জনীর দিয়ে দুটি কান বন্ধ করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।

এবার চোখ বন্ধ করুন ও মুখ না খুলে গভীর নিশ্বাস নিয়ে aum বা ॐ উচারন করুন যত খন না নিশ্বাস শেষ হছে।

এই ভাবে 5 থেকে 6 মিনিট প্র্যাক্টিস করুন নিজের সুবিধা মতো প্রয়োজন অনুজাই সময় আপনি বাড়াতে ও পারেন।  


আর পড়ুন: 10 টি সহজ Yoga যা সুগার বা Diabetes কনট্রোলে সাহায্য করে  


4. ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম (Bhastrika pranayama):

এই প্রাণায়াম আমাদের ফুসফুসের শ্বাসনালীর মধ্যে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত Mucus কে শরীর থেকে বার করতে ও শরীরকে ব্যালান্স করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও এটি স্ট্রেস ও সুগার থাকে শুরু করে শরীরের ঝিমুনি ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের pancreas থাকা বিটা cells গুলি কে পুনরায় উজীবিত করতে সাহায্য করে এবং শরীর ও মনের এনার্জি প্রদান করে।

ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম প্রণালী :

প্রথমে সমতল জায়গাতে বসুন সুখাসন বা পদ্মাসনে একদম মেরুদণ্ড সোজা করে ও মাথা সামান্য উপরে দিকে তুলুন। এবার নিজের হাত দুটি ধ্যান মুদ্রায় দুই হাটুর উপর রাখুন ।

এর পর গভীর ভাবে কয়েকটি নিশ্বাস নিন, তার পর এমন ভাবে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন যাতে শ্বাস বায়ু আপনার বুকের মধ্যে জমা হয়।

যখন নিশ্বাস ছাড়বেন তখন বুকের উপর চাপ দিয়ে ছারুন। আসল বেপার  হল শ্বাস প্রণালীর মধ্যে যেন চেষ্ট বা বুক কানেক্ট হয়।এই প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব হয় ততটা দ্রুত করা যায় ততটা করুন ও আপনার সুবিধা অনুজাই।


5. উজাই প্রাণায়াম (Ujjayi Pranayama) :  

এর অপর নাম হল সমুদ্র-শ্বাস বায়ু। এই প্রাণায়াম আমাদের ফুসফুস বা lungs এর মধ্যে অক্সিজেন সাপ্লাই থেকে শুরু করে ব্লাড প্রেসার ও বিভিন্ন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।

এই প্রাণায়াম আমদের শরীরের মধ্যে জমে থাকা দূষিত টকসিন বা বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে, যাতে শরীর মধ্যে কোন রোগ সৃষ্ঠী হতে না পারে।

উজাই প্রাণায়াম প্রণালী:

প্রথমে একটি সমতল জায়গাতে সুখাসনে বসুন সুখাসন বা পদ্মাসনে মেরুদণ্ড পুরো সোজা রেখে। দুটি হাত ধ্যান মুদ্রায়ে হাটুর উপর রাখুন, এর পর গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন যাতে প্রথমে পেট তার পর বুক বা চেষ্ট নিশ্বাসে ভরে যায় ।

তার পর আস্তে আস্তে পাটের অংশ তার পর বুকর অংশের মধ্যে ধরে রাখা শ্বাস বায়ু কে ছারুন। আস্তে আস্তে নিজের সুবিধা মত গতি বাড়ান।

এই প্রক্রিয়া রিপিট করুন 5 থাকে 6 মিনিট আপনি চাহিলে সময় আর বাড়াতে পারেন আপনার সুবিধা মত। প্রথমে একটি সমতল জায়গাতে সুখাসনে বসুন সুখাসন বা পদ্মাসনে মেরুদণ্ড পুরো সোজা রেখে।

দুটি হাত ধ্যান মুদ্রায়ে হাটুর উপর রাখুন, এর পর গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন যাতে প্রথমে পেট তার পর বুক বা চেষ্ট নিশ্বাসে ভরে যায় ।

তার পর আস্তে আস্তে পাটের অংশ তার পর বুকর অংশের মধ্যে ধরে রাখা শ্বাস বায়ু কে ছারুন। আস্তে আস্তে নিজের সুবিধা মত গতি বাড়ান।

এই প্রক্রিয়া রিপিট করুন 5 থাকে 6 মিনিট আপনি চাহিলে সময় আর বাড়াতে পারেন আপনার সুবিধা মত।  


6. চন্দ্রবেদী প্রাণায়াম (Chandra Bhedi Pranayama):

এই প্রাণায়াম কে চন্দ্র বেদি বলা হয় কারণ এই প্রাণায়াম আমাদের চন্দ্র কেন্দ্রিক শক্তি কে ব্যালান্স করে। যার ফলে আমদের শরীরে nerve এর প্রোব্লেম থাকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন inflammation কে কম করতে সাহায্য করে যা Asthma ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছার আপনি যদি রাগ বা মানসিক উত্তজনায় ভোগেন তবে এই প্রাণায়ামটি করুন এতে এক মিনিটে আপনার রাগ কমে যাবে নিশ্চিত।

চন্দ্রবেদী প্রণালী:

প্রথমে আপনি সুখাসন বা সবচেয়ে ভাল পদ্মাসন বসুন যেন মেরুদণ্ড একদম সোজা থাকে । মাথা একটু উপরের দিকে তুলে রাখুন এর পর আপনার ডান হাত দিয়ে নাকের ডান দিক বন্ধ করুন।

যেন ডান দিক দিয়ে নিশ্বাস না নিতে পারেন। এর পর বা দিক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিন ও হোল্ড করুন 5 সেকেন্ড ও ছেড়ে দিন।


Asthma রোগের কিছু খাবারগত বিধি নিষেধ:

Asthma রোগের ক্ষেত্রে সব রকমের আলার্জিক ফুড যেমন: বাদাম, ডিম, বেগুন, চিংড়ি মাছ ইত্যাদী সম্পুর্ন রূপে এড়িয়ে চলা উচিত।

এবং ধুম পান ও মদ্য পানের মত কুঅভ্যাস সম্পুর্ন রূপে ত্যাগ করা আবশ্যক, কারণ ধুম পান ও মদ্য পান asthma বা হাঁপানি রোগীকে যেকোন মূহুর্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিতে সক্ষম।        


সুস্থ থাকতে ও আমাদের সমস্থ নতুন article আপডেট পেতে উপরে বা নিচে থাকা Bell Icon ক্লিক করুন

যদি আপনার Yoga বা Meditation শিখতে চান তবে এখুনি কল করুন এই +91-9433-657-349 এই নাম্বাবে বা আমাদরে মেল করতে পারেন contact@wisdomcue.com  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *