বাচ্চাদের জীবনে যোগ অভ্যাসের গুরুত্ত :
Yoga বা যোগ আসন প্রতিটিই বাছাদের শারিরীক ও মনসিক পূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে এক অসাধারণ প্রক্রিয়া।
যা প্রতিটি বাচ্ছাদের শারিরীক নমনীয়তা থেকে শুরু করে সমস্ত পেশীর সুষম বিকাশ ও মনসিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
এছাড়াও সঠিক ধরনের Yoga বাচ্ছাদের পড়াশুনার competition থেকে হওয়া স্ট্রেস, ডিপ্রেশান কাটিয়ে উঠে সাহায্য করে।
এবং ব্রেন কে ফোকাস করতে ও নিজের মধ্যে পজিটিভ attitude তৈরি করতে সাহায্য করে।
ছোট বয়স থেকেই বাচ্ছাদের যোগ অভ্যাসের সাথে যুক্ত করা অর্থ হল বাচ্চাদের সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত সৃষ্ঠী এবং Yoga benefits আছে প্রচুর।
11 Yoga Asana For Kids
ত্রিকোণ আসন (Trikonasana) :
ত্রিকোণ আসন প্রণালী:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা খুজে মেরুদণ্ড সোজা রেখে লম্বা ভাবে দাড়ান, এবার দুটি পা কে যতটা সম্ভব দুদিকে ছড়ান।
নিজের দুটি হাত কে সোজা করে দুদিকে ছড়ান ও নিজের পায়ের পাতা গুলিকে ডান দিকে ঘুরিয়ে নিন।এবার আস্তে আস্তে কোমর থেকে বেন্ড করে নিজের হাতকে ডান পায়ের পাশে হাতের তালু মাটিতে স্পর্শ করান।
ও নিজের ডান হাতকে উপরে সমান ভাবে তুলে রাখুন, এবং গভীর ভাবে নিশ্বাস নিয়ে হোল্ড করুন যতটা সম্ভব।একই রকম ভাবে হাত ও পা কে পরিবর্তন করে আসনটি প্র্যাক্টিস করুন।
উপকারিতা:
এই আসন প্রতিটি বাছাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে, হাত পায়ের পেশী কে শক্ত করতে সাহায্য করে।
কোমরের সমস্থ পেশী কে নমনীয় ও মজবুত করে এই আসন। এছাড়াও বাচ্চাদের মেন্টাল ফোকাস কে বাড়াতে ও শরীরের স্ট্রেস লেভেল কে কমাতে সাহায্য করে।
2. সেতুবন্ধন আসন (Setubandh asana):
সেতুবন্ধন আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা বছে নিন ও লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন।এবার হাটু থাকে পা ভাজ করে নিন ও নিজের দুটি হাত কে শরীরে দুই পাশে লম্বা ভাবে টান টান করে পায়ের দিকে ছড়িয়ে রাখুন।
এবার হাতের উপর চাপ দিয়ে কোমর থাকে শরীর কে উপরে দিকে তুলুন ও হোল্ড করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।
উপকারিতা:
সেতুবন্ধন আসন বাচ্চাদের বডিকে Stretch করতে ও কাধের ও ঘাড়ের aliment ঠিক করতে flexibal সাহায্য করে।
এছাড়া এই আসন আমাদরে শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকা পরিমাণ বৃদ্ধি করে যাতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও চুলের পরা কমে।
3. মত্স আসন (Matsyasana):
মত্স আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল জায়গা বেছে নিন ও লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।এবার ধীরে ধীরে কোনুই থেকে হাত কে বেন্ড করে কোমর কে মাটি তে ঠেকিয়ে চেষ্ট কে stretch করে উপরে তুলুন।
ও ধীরে ধীরে মাথা কে পিছনের দিকে বেন্ড করে মাটিতে ঠেকান যাতে আর্চ আকার হয় পিঠের কাছে।এই অবস্থায় বডি কে হোল্ড করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন যতটা সম্ভব।
উপকারিতা:
এই আসন বাচ্চাদের মস্তিষ্কে ব্লাড ও nutrient প্রভাহ সঠিক করতে সাহায্য করে, চেষ্ট মাসেল কে সঠিক ভাবে স্ট্রে্চ করে।
এই আসন মাইন্ড কে ফোকাস করতে ও শরীরের বাচ্ছাদের শরীরে মধ্যে সারা দিন সঠিক মাত্রায় এনার্জি লেভেল কে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উষ্ট্রাসন (Ustrasana) :
উষ্ট্রাসন পদ্ধতি:
সবার প্রথমে একটি সমতল জায়গায় পা জোর করে বসুন, তার পর আস্তে আস্তে হাটু থাকে পা দুটি ভাজ করে হাটুর উপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাড়ান ও মেরুদণ্ড কে সোজা করুন।
তার পর আস্তে আস্তে দুটি হাত কে মাথার উপর দিয়া নিয়ে পিছনে শরীরকে বেন্ড করে পা এর পাতা গুলি কে স্পর্শ করুন যতটা সম্ভব নিজের বডি ব্যালান্স রেখে। এবার নিজেকে হোল্ড করুন এই আসনে ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।
উপকারিতা:
এই আসন বাচ্চাদের কম ফাইবার খাওয়া থেকে হওয়া খুবই কমোন কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা কে দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়া ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে হওয়া গ্যাস, অম্ল বা বদ হজম সমস্যা দূর করে ও পেটের ফ্যাট কে কমাতে সাহায্য করে।
এবং শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন হরমোন কেন্দ্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এই আসন।
5. অর্ধ পিঞ্চা মযুরাসন (Ardha pincha mayurasana):
অর্ধ পিঞ্চা মযুরাসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি পূর্ণ সমতল যায়গা বেছেনিন ও নিজের শরীর কে হামগরী দেওয়ার পজিশানে নিয়ে আসুন হাটু ও কোনুই সাহায্যে।
এবার দুটি হাত কাছে এনে হাতের 10টি আঙুল একে অপরের সাথে interlock করুন ও নিজের মাথা নিচে দিকে সমান করুন।
এর পর হাতের কোনুই ও সামনের অংশ মাটিতে রেখে কোমর থেকে নিচের অংশ কে ধীরে ধীরে উপরে তুলুন।
যেন আপনার বডি কে দেখতে উল্টো V আকারের মনে হয়, এই পজিশন নিজেকে হোল্ড করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।
উপকারিতা:
এই আসন আমাদের concentration ও মেমারি বাড়াতে এবং ব্রেন এর মধ্যে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে এবং কোমরেরে বিভিন্ন পেশী কে শক্ত সমর্থ করে।
এছার এই আসন বাচ্চাদের হাতের ও কাধের পেশীর কে সুগঠিত করে যাতে বাচ্ছাদের রাউন্ড শোল্ডার (Round Sholder) সমস্যা না হয়।
6. উথানপদ আসন (Uttanpadasana):
উথানপদ আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গায় লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন, ও হাত গুলি দুই পাশে লম্বা ভাবে ছড়িয়ে রাখুন এমন ভাবে যেন শরীরের মধ্যে কোন গ্যাপ না থাকে।
এবার দুটি পায়ের পাতা কে সাথে ঠেকিয়ে গভীর নিশ্বাস নিয়ে এক সাথে বিন হাটু ভাজ করে হাতের উপর জোর দিয়ে 45 ডিগ্রি অঙ্গেলে তুলুন।
এই অবস্থায শরীর কে লক করুন হোল্ড করুন্ যতটা সম্ভব।
উপকারিতা:
এই আসন বাচ্চাদের পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, অম্ল, বধহজম কে কমায় ও digestion সিষ্টেম কে ক্ষমতাশালি করে তলে।
এছাড়া পায়ের ও কোমরে সমস্থ পেশী কে মজবুত করতে ও বিভিন্ন হরমোন কে ব্যালান্স করতে এই আসন্ খুবই উপকারী।
7. নবাসন (Navasana) :
নবাসন আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা তে বসুন দুটি পা কে সামনের দিকে ছড়িয়ে ও মেরুদণ্ড কে সোজা করে।এর পর মাটিতে দুটি হাত রেখে ও হাতের উপর জোর দিয়ে নিজের আপার বডি কে পিছনের দিকে 45 ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে নিয়ে আসুন।
এর পর একই ভাবে নিজের দুটি পা কে সামনের দিকে উপরে তুলুন ঠিক 45 ডিগ্রি আঙ্গেলে, এবার মাটি থেকে দুটি হাত কে তুলে কাধের সমান সমানে লম্বা করে সামনের দিকে ছড়ান।
যেন হাত দুটি পা কে স্পর্শ না করে, এই অবস্থা নিজকে হোল্ড করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন। একই ভাবে হাত ও পা পাল্টে আবার প্র্যাক্টিস করুন।
উপকারিতা:
এই আসন ছোটদের Core Strenth বাড়াতে ও পায়ের পিছনের দিকের সব পেশী গুলি কে শক্ত করতে সহজ্য করে।
এছাড়া পেটের ও থাই এর নিচের দিকে ও দুটি হাতে উপরের অংশে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কে কমায় ও হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8. ধনুর আসন (Dhanurasana):
ধনুর আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি সমতল যায়গা বেছে নিন ও সম্ভব হলে মেঝের উপর কিছু পেতে নিন।
তার পর বুকের উপর ভর দিয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন, হাত লম্বা ভাবে মাথার দিকের ও পা সমান ভাবে বিনা কোন গ্যাপ দিয়ে লম্বা ভাবে ছড়িয়ে রাখুন।
এর পর পা দুটি হাটু থেকে ভাজ করুন ও ধীরে ধীরে মাথার দিকে নিয়ে আসুন লক্ষ রাখবেন পায়ের মধ্যে বেশি গ্যাপ না হয় ও পেট যেন মাটিতে স্পর্শ করে থাকে।
এবার মাথার পিছন দিক হাত দুটি স্ট্রেচ করে নিয়ে আসুন ও পায়ের বুড়ো আঙুল কে স্পর্শ করুন।
উপকারিতা:
এই আসন ছোট দের মেরুদণ্ড কে মজবুত করতে ও আপার বডি স্ট্রে্চ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া আসন আমাদরে endocrine gland কে উদ্দীপিত করতে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের উপর সমতা আনতে সাহায্য করে।
9. চক্রাসন (Chakrasana):
চক্রাসন আসন পদ্ধতি:
প্রথমে আপনি শুয়ে পড়ুন একটি সমতল যায়গাতে শবাসনে, নিজের পায়ের মধ্যে যেন খুব সামান্য ফাক থাকে এবং নিজের হাত মাথার উপর দিকে থাকে।
এর পর পা হাটুতে থেকে ভাজ করুন আস্তে আস্তে বডি কে উপরে দিকে তুলুন।
এবং হাতের তালুর সাহায্যে কোমর থেকে স্ট্রে্চ করে বডির উপরের অংশ তুলুন ও যতটা সম্ভব হাত কে পায়ের দিকে প্রসারিত করুন।
যাতে শরীর একটি চক্র আকার ধারন করে এই পজিশনে গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন ও হোল্ড করুন।
উপকারিতা:
এই আসন ছোট দের স্পাইন ও পেটের মাসেল কে স্ট্রেচ করতে এবং বডির এনার্জি লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও বডির স্ট্রেস হরমোন ও অক্সিজেন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং lungs এর ও হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই আসন।
10. পবন মুক্ত আসন(Pavanamuktasana) :
পবন মুক্ত আসন পদ্ধতি:
প্রথমে একটি যায়গায় লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন, হাত ও পা কে লম্বা ভাবে ছড়িয়ে।
এর পর দুটি পা কে হাটু থেকে ভাজ করে বুকের কাছে আনুন ও দুটি হাত এবর উপর দিয়ে নিয়ে গিয়ে আঙুল গুলি interlock করুন।
এর পর গভীর নিশ্বাস নিন ও নিজের ঘাড় কে স্ট্রে্চ করে হাটুর কাছে নিয়ে যান ও হোল্ড করুন যতটা সম্ভব।
উপকারিতা:
এই আসন আমাদরে শরীরের স্ট্রেস হরমোন ও পেটের সমস্থ সমস্যা দূর করে এবং বডি স্ট্রে্চ করতে সাহায্য করে।
কারন শরীরের হরমোন ইমব্যালেন্স থাকে তবে শরীরে সঠিক ভাবে কোন গঠন মূলক কাজ করতে পারে না তাই এই আসনটি খুবই গুরুত্ত পূর্ণ।
11. বৃক্ষাসন (Vriksasana) :
বৃক্ষাসন আসন পদ্ধতি:
প্রথমে সমতল যায়গা খুজে মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াতে হবে, এর পর নিজের দুটি হাত কে নমস্কার ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন ।
তার পর বডির ব্যালান্স রেখে নিজের ডান পা কে হাটু থেকে ভাজ করে বা পায়ের হাটুর উপর আনুন।
ও ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাতকে নমস্কার ভঙ্গিতে সমান ভবে মাথার উপর নিয়ে যান ও হোল্ড করুন।
এবং আবার নরমাল অবস্থা ফিরে আসুন ও পা বদল করে একি ভবে আবার প্র্যাক্টিস করুন নিজের সুবিধা মত।
উপকারিতা:
এই আসন পায়ের পেশী ও ligament সমস্যা দূর করে, বডির মধ্যে ব্যালান্স আনে ও মন কে একই দিকে ফোকাস করতে সাহায্য করে এই আসন। এর পর বাচ্চাদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে সূর্য নমস্কা র্আসন।
আসা করছি আপনাদের পোস্ট টি ভাল লেগেছে। যদি আপনার কোনও বিশেষ মতামত থাকে তবে আমদের কমেন্ট বক্সের মধ্যে জানতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ