কুণ্ডলিনী যোগ কী?
কুণ্ডলিনী শব্দের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ভারতীয় উপনিষদ শাস্ত্রের মধ্যে যায় প্রধান অর্থ হল জীবন প্রদান কারি সৃষ্ঠীর বুনয়াদি শক্তির সক্রিয়তা।
মানব দেহ এই বুনয়াদি শক্তির অনেক গুলি লেয়ের দ্বারা তৈরি যার ৯৯ ভাগই নিষ্ক্রিয় রূপে স্থিত। এই শক্তির বা এনার্জির বুনিয়াদি সর্ব নিম্ন স্তরের প্রকাশ হল জীবন বা প্রাণ।
এই ৯৯ ভাগ নিষ্ক্রিয় অবস্থা থাক শক্তির শক্তির জাগরণ ও সঠিক রূপে দেহের মধ্যে স্থাপনের পদ্ধতি হল কুণ্ডলিনী। এই কুণ্ডলিনী শক্তি আমাদের মেরুদণ্ডের ঠিক নিচে মুলাধার চক্রের মধ্যে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় স্থিত।
কুণ্ডলিনী সাধনার সময়ে এই নিষ্ক্রিয় শক্তি কে ধীরে ধীরে সর্ব নিম্ন চক্র থেকে উপরে সহস্রার চক্রের মধ্যে শক্তি স্থাপন করা।
মুলাধার চক্র থেকে ষষ্ঠ অগনা চক্র পর্যন্ত শক্তির স্থাপন তুলনা মূলক ভাবে সোজা এবং অসংখ্য পথ বিদ্যমান, কিন্তু ষষ্ঠ চক্র থেকে সপ্তম চক্র পর্যন্ত শক্তির সাধন পথ কোন পুরাণেই বর্ণিত না থাকায় ষষ্ঠ চক্র ভেদ সবচেয়ে দীর্ঘ ও কঠিন।
কিন্তু এই কুণ্ডলীনি শক্তি প্রকাশ ও সাধন কে যোগীর বিষধর সর্প দ্বারা চিত্রিত করেছেন, কারণ কুণ্ডলিনী শক্তি যেমন অসীম ক্ষমতাশালি ঠিক এক রকম ভাবে অতি ভয়ংকর এবং বিধংসি।
কারণ যে শক্তি আমাদের জীবনের সমস্থ স্থিতি কে এক নিমেষে পরিবর্তণ করার ক্ষমতা ধারন করে, ঠিক একই রকম বিনা আত্ম নিয়ন্ত্রনে এই শক্তি যে কোনো মানুষের ভয়ংকর মৃত্যুর জন্য যথেষ্ঠ।
পূরণ এবং কিছু লোক কাহিনীতে উল্লেখ পাওয়া গেছে অনেক বড় সাধক ও যোগীরা এই শক্তি প্রভাবে কেউ উন্মাদ হয়ে গেছেন আবার অনেকে মারা ও গেছেন।
কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরনেরে নিয়ম:
সবার প্রথমে বোঝা দরকার কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরণ কোন সাধারণ প্রক্রিয়া নয়, কুণ্ডলীনি শক্তি জাগরণ জন্য প্রথম ধাপ সাংসারিক জীবন থেকে সম্পুর্ন রূপে বিরত থাকা।
কারণ কুণ্ডলীনি শক্তির জাগরণের জন্য আমাদের গভীর অনুশাসন ও বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা অতি প্রয়োজন, যা সাংসারিক রূপে পালন করা কোন প্রকারে সম্ভব না।
দ্বিতীয় হল কুণ্ডলিনী জাগরণের প্রক্রিয়া সাথে অবগত সঠিক গুরু guidance ও observation। যিনি আপনার আভ্যন্তরীণ পরিবর্তণ কে একটি দিশা প্রদান করবে।
তৃতীয় ধাপ হল কুণ্ডলীনি শক্তি জাগরনের জন্য ধীরে ধীরে সঠিক শারিরীক স্থিতি সৃষ্টি করা, যা এই অসীম শক্তিকে নিয়ন্ত্রনের সঠিক স্থিতি প্রদান করতে সক্ষম।
চতুর্থ ধাপ হল গুরু প্রতি বিশ্বাস ও সঠিক ভাবে সাধনা প্রণালী পালন।
কুণ্ডলিনী জাগরণের উপায়:
ভারতীয় ঋষিদের মতে কুণ্ডলিনী শক্তি জাগরণের জন্য ১১২টি পথ বর্তমান রয়েছে। এই 112টি পদ্ধতি কেবল 2টি ধাপে পূর্ণ করা যায়, এর প্রথম ধাপ হল শরীর কে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ আনা ও শরীরকে নির্দিষ্ট বাতাবরণ প্রদান করা এবং দ্বিতীয় ধাপ হল শরীর কে উত্তেজনার চরম সীমায় নিযে যাওয়া যার দ্বারা এক মুহুতে কুণ্ডলিনীর জাগ্রত করা।
কুণ্ডলিনী জাগরণের ক্ষেতে কোন গুরুই দ্বিতীয় পথ অবলম্বনের কথা কোন দিন বলবেন না, কারণ বিনা সঠিক নিয়ন্ত্রণের স্থিতিতে এই শক্তির জাগরণ মৃতুর সমান।
সাবধানতা:
আজকের দিনে কুণ্ডলিনী একটি ব্যবসা হয়ে দারিয়েছে, প্রায় 99 ভাগ গুরু যারা কুণ্ডলিনী সাধন শেখাছেন তার নিজারই কোন দিন কুণ্ডলিনী সাধনা করেননি। কুণ্ডলিনীর নামে শুধুই ভুল ভাল সাধন পদ্ধতি শেখান, বিশেষত ভাবে বিদেশী গুরুরা।
- কুণ্ডলীনি বিনা সঠিক গুরু guidance ছাড়া প্র্যাক্টিস করার অর্থ নিজের বিপদ নিজে ডেক আনা বা মৃত্যু কে আহ্বান করা।
- নিয়ন্ত্রণ ছাড়া যে কোন চক্রে শক্তির প্রবাহ শরীর ও মানসিক ভারসাম্য কে চিরতরে নষ্ঠ করতে সক্ষম।বিনা জ্ঞানে কুণ্ডলিনী জগরণের কোন চক্রের স্থিতি গণ্ডগোল হলে তা সারা জীবনের জন্য কুপ্রভাব প্রদান করবে।
- কুণ্ডলিনী জাগরেনের পর অতি মাত্রায় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে জন্য আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর ভাবে সাংসারিক অবস্থার মধ্যে থেকে কখনোই কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরণের প্রয়াস করা উচিত না।
আসা করছি আপনাদের পোস্টটি ভাল লেগেছে, আপনার কোন মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্স এর মধ্যে জানান ও আমাদের নতুন নতুন পোস্ট গুলির আপডেট পেতে উপরে থাক Bell icon ক্লিক করুন ধন্যবাদ।
আপনার যদি অনলাইন বা offline মেডিটেশন শিখতে চান তবে দেরি না করে কল্ল করুন আমদের +91 -9433 -657 -349 নাম্বারে। বা মেল করুন Contact@wisdomcue.com
Nice post. I learn something totally new and challenging on blogs I stumbleupon on a daily basis. It will always be interesting to read content from other writers and use something from other sites.
Everything is very open with a very clear description of the challenges. It was definitely informative. Your site is very useful. Thanks for sharing!