এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আজ জানতে পারবেন Meditation নিয়ে ৬টি অজানা তথ্য সম্পর্কে এবং সেগুলোর পাবেন যথাযথ উত্তর | দেখুন বর্তমান যুগে মেডিটেশন কথাটা তো সবাই শুনেছে | কিন্তু এই সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক কোনো ধারণা নেই | কিন্তু এই নিয়ে চিন্তা করার আর আপনাকে অন্তত দরকার নেই কারণ এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনি আজ Meditation সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে যাবেন | তা চলুন সেগুলো তবে জেনে নেওয়া যাক | প্রশ্ন নাম্বার এক: মেডিটেশন করার অর্থ কি নিজের মস্তিষ্কের চিন্তা করার শক্তিকে পুরোপুরি Blank করে দেওয়া? এই প্রশ্নটা সবথেকে জনপ্রিয় | আজও অনেক মানুষ মনে করেন মেডিটেশন করলে নাকি তাদের চিন্তা একদম গায়েব হয়ে যাবে | মস্তিস্ক পুরোপুরি blank আর শান্ত হয়ে যাবে | দেখুন শেষের ধারণাটা তো ঠিক, এটা সত্যিই আপনার মস্তিস্ককে তথা মনকে শান্ত করে দেবে | কিন্তু মস্তিষ্কের মধ্যেকার চিন্তা করার শক্তিকে কখনই blank করে দেবেনা | এরকম সত্যিই যদি আপনি করতে চান, তাহলে আপনি কোমায় যাওয়ার ভাবনায় মেতে আছেন | কারণ এটা একমাত্র সেই অবস্থাতেই সম্ভব | আমাদের মস্তিষ্কের কাজ করার ধরন মোটেই এরকম নয় | আপনি যা কিছুই practice করুন না কেন আপনার মস্তিষ্কে 60 থেকে 70 হাজার চিন্তা প্রতিদিন আসবেই | এটাকে কেউই আটকাতে পারবেনা | মেডিটেশনের কাজ হলো আপনার অতিরিক্ত চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ওয়ার্ক লাইফের সাথে আপনার স্বাভবিক জীবনকে ব্যালান্স করানোর চেষ্টা করা | আপনার জীবনে সকল অশান্তির মূল কারণ হলো আপনার অতিরিক্ত চিন্তা নাকি অন্য কেউ | সবাই একে অপরকে নিয়ে বা নিজেকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে চলেছে বলেই প্রত্যেকের জীবনে এত স্ট্রেস বা অশান্তি | Balance লাইফস্টাইল আপনার জীবন থেকে এইসব স্ট্রেস বা অশান্তি দূর করে দিতে পারে | শুধু এটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজন প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিটের মেডিটেশন | প্রশ্ন নাম্বার দুই: মেডিটেশন চোখ খুলে করা উচিত নাকি চোখ বন্ধ করে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দুটোই | আপনি চোখ খুলেও meditation করতে পারেন আবার চোখ বন্ধ করেও মেডিটেশন করতে পারেন | choice আপনার উপর | কিন্তু আমি মনে করি মেডিটেশন সবার প্রথমে চোখ বন্ধ করে practice করা উচিত | কারণ আপনি যদি প্রথমেই চোখ খুলে মেডিটেশন করা শুরু করেন তাহল আপনি খুব সহজে আপনার মনকে ফোকাস করতে পারবেন না | যারফলে আসবে বিরক্তির ভাব | মেডিটেশন করার অর্থ কিন্তু সর্বদা ফোকাস থাকা সেটা চোখ খুলেই হোক কিংবা চোখ বন্ধ করে | কিন্তু এই ফোকাসের লেভেলকে বাড়ানোর জন্য আপনার অনেকদিনের প্র্যাকটিসের প্রয়োজন, মিনিমাম তো ৩ মাসের প্রয়োজনই প্রয়োজন | যখন আপনি automatically চোখ বন্ধ অবস্থায় মেডিটেশনের মাধ্যমে নিজের ফোকাসকে একটা লেভেল পর্যন্ত বাড়িয়ে নেবেন | তখন আপনার পক্ষে যেকোনো অবস্থায় মেডিটেশন করা কোনো সমস্যাই হবেনা | আপনি সর্বদা তখন ধ্যানের অবস্থাতেই থাকবেন অর্থাৎ সহজ কথায় যদি বলি আপনি একদম highly focused মানুষে পরিনত হয়ে যাবেন আর অবশ্যই হবেন ধৈর্য্যশীল ও শান্ত | প্রশ্ন নাম্বার তিন: মেডিটেশন করার সঠিক জায়গা কোনটা? Meditation করার সঠিক জায়গা যেকোনো হতে পারে কিন্তু এখানে শর্ত মাত্র একটাই সেই জায়গাটা অবশ্যই যেন একদম শান্ত অথবা নিরিবিলি হয় | যেখানে মানুষের অতিরিক্ত কোলাহল সেখানে মেডিটেশন না করাই ভালো কারণ অতিরিক্ত কোলাহলের মধ্যে মেডিটেশন করলে আপনি এর থেকে কোনো প্রকার আন্তরিক উপকার পাবেন না | তাই এমন একটা জায়গা খুঁজুন যেটা আপনার মতে শান্ত অথবা নিরিবিলি | সেটা আপনার বাড়ির যেকোনো ঘরও হতে পারে বা আশপাশের কোনো পার্ক বা মাঠও হতে পারে | প্রশ্ন নাম্বার চার: কতক্ষণ ধরে আমাদের মেডিটেশন করা উচিত? অনেকের মনের মধ্যেই এই প্রশ্নটা আসে যে, মেডিটেশন একজন মানুষ কতক্ষন ধরে করবে | একটা কথা জেনে রাখবেন, মেডিটেশন আপনি যতক্ষন ধরে করতে পারবেন ততই আপনার পক্ষে ভালো | কিন্তু অনেক্ষন ধরে না করতে পারলে অন্তত ১৫ মিনিট করাই উচিত | এর থেকে কম সময়ের মধ্যে শেষ করলে আপনি এর থেকে বেনিফিট অনেক দেড়িতে পাবেন | কিন্তু একটা কথাই বলে রাখি, আপনি যদি এর আগে কোনোদিন মেডিটেশন না করেন তাহলে জোর করে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করার কোনো দরকার নেই | আপনি আগে কিছুদিন ৫ মিনিট করে রোজ মেডিটেশন করুন তারপর ধীরে ধীরে সেই ৫ মিনিটকে ৭ মিনিট, তারপর ১০ মিনিট ও তারও পর ১৫ মিনিটে নিয়ে যান | এর যখন আপনার মনে হবে, ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন আপনি অনায়াসে করতে পারছেন তখন আবার নিজের এই প্র্যাকটিসের সময়কে বাড়ান | আর হ্যাঁ এরজন্য অবশ্যই মোবাইলে টাইমারের সাহায্য নিন | প্রশ্ন নাম্বার পাঁচ: আমি কি কোনো ধরনের হালকা music চালিয়ে meditation করতে পারি? আর এর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আমি কোণ ধরনের music চালাবো? আপনি হয়তো এটা শুনেছেন যে music আমাদেরকে ভিতর থেকে heal করতে পারে | একটা ভালো ধরনের music এর মধ্যে কিন্তু সত্যিই সেই ক্ষমতা থাকে | মেডিটেশন করার সময়ে আপনি কিন্তু music এর ব্যবহার করতে পারেন | Youtube-এ আপনি সার্চ করলেই বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশনের জন্য music পেয়ে যাবেন | এছাড়াও আপনি white noise music শোনার মাধ্যমেও মেডিটেশন করতে পারেন | এবার আপনি যদি white noise কথাটা জীবনে প্রথম শুনে থাকেন তাহলে আপনাকে এর অর্থ সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিই | white noise হচ্ছে এমন ধরনের সাউন্ড যেটা প্রাকৃতিক | উদাহরণ স্বরূপ: ঝিজিপোকার ডাক, নদী বা সমুদ্রের কলতান কিংবা পাখির ডাক ইত্যাদি | আর youtube-এ সার্চ করলেই আপনি বিভিন্ন ধরনের white noise music পেয়ে যাবেন | আমার পার্সোনাল মত অনুযায়ী মেডিটেশন music শুনে মেডিটেশন করার চেয়ে white noise music শুনে মেডিটেশন করা অনেক ভালো | যেহেতু এগুলো এক একটা ন্যাচারাল সাউন্ড তাই আপনার মস্তিস্ক এক্ষেত্রে ভীষনভাবে distracted হবেনা | কিছুক্ষণ এই ন্যাচারাল সাউন্ডের মাধ্যমে মেডিটেশন করলে আপনার মস্তিস্ক এমনিতেই শান্ত আর focused হয়ে যাবে | কিন্তু আমার কথা মানার আগে সবার প্রথম নিজে আগে যাচাই করে নেবেন | আপনার কোন musicটা বেশি ভালো লাগছে মেডিটেশন করার সময় | আরেকটা কথা বলে রাখি, সর্বদা music চালিয়েই কিন্তু আপনি কখনই মেডিটেশন করবেন না | সপ্তাহে এক দুবার ঠিক আছে কিন্তু প্রতিদিন করা ঠিক নয় | নরমালভাবে মেডিটেশন করারই সর্বদা চেষ্টা করো | সবশেষে প্রশ্ন নাম্বার ছয়: Meditation করার সঠিক বয়স কত? এবং বাচ্চারাও কি মেডিটেশন করতে পারে? মেডিটেশন করার নির্দিষ্ট কোনো বয়স হয়না | এটা করা কেউ দশ বছর বয়স থেকে শুরু করতে পারে আবার ষাট থেকে সত্তর বছর বয়সে গিয়েও করতে পারে | এক্ষেত্রেও choice একদম তার | বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজ আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে এই ভুল ধারণাটা ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, মেডিটেশন তারাই করে যারা অনেক বয়স্ক হয় | যেই কথাটা কিন্তু একদমই সত্যি নয় | শুনুন মেডিটেশন হচ্ছে একধরনের মাইন্ড ট্রেনিং যেটা সকলেরই সবার আগে করা প্রয়োজন কারন আমি এই লেখার প্রথমেই বলেছি আমাদের জীবনে যা কিছু সমস্যা হচ্ছে তার মূল উৎস হচ্ছে আমাদের মন আর আমাদের অনিয়ন্ত্রিত চিন্তা | তাই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং অতিরিক্ত চিন্তাকেও নিয়ন্ত্রণ করার একটি প্রাচীন পদ্ধতি হলো এই মেডিটেশন | এবার, বাচ্চাদেরকে মেডিটেশনকে করানোর advice হিসাবে আমি বলতে পারি যে, সাত বছরের নীচে কোনো বাচ্চাকেই মেডিটেশন করানো উচিত নয় কারণ তার আগে পর্যন্ত তাদের মানসিক বিকাশ তেমন একটা হয়না | কমপক্ষে সাত বছর বয়স যদি না হয় আপনার সন্তানের, তাহলে তাকে কখনোই জোর করে মেডিটেশন করানোর চেষ্টা করবেন না | মেডিটেশন কিন্তু জোর করে করার জিনিস নয় বা জোর করে করানোর জিনিস নয় এটা সর্বদা মাথায় রাখবেন | আশা করি মেডিটেশন নিয়ে আপনার সমস্ত doubt আমরা clear করতে পেরেছি | লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই এটিকে সবার সাথে শেয়ার করুন এবং অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানান আপনার মতামত | এছাড়া আপনি যদি সত্যিই মেডিটেশন অনলাইন শিখতে চান তাহলে এখুনি কল করুন +91 9433-657-349 এই নাম্বারে |