Chakra Meditation: Chakra বা চক্র হল আমাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন প্রান শক্তির কেন্দ্রবিন্দু বা বিভিন্ন নাড়ির সংযুক্ত কেন্দ্রবিন্দু। এবং এই নাড়ী হল আমদের শরীরের প্রাণ শক্তি বা এনার্জি প্রবাহী নালিক। যখন এই নাড়ী গুলির যখন তিনটি একত্রে মিলিত হয় তখন সৃষ্ঠী হয় নির্দিষ্ট গুন সুমপূর্ন একটি চক্র। অবাক বিষয় তিনটি নাড়ী সর্বদা মিলিত হয় ত্রিকোন আকারে ও বিশেষ এনার্জি রূপে। আমরা মনে করি চক্রে মানে গোলাকার আকৃতি বিশিষ্ঠ তা নয়, চক্র হল ত্রিকোণ আকৃতির। এই চক্র সর্বদা নিদিষ্ট ক্ষমতা বা এনার্জি পূর্ন হয় ও বিজ্ঞান অনুজাই এনার্জি সঞ্চারিত হয় গোল আকারে, এই বিশেষ স্থানকে চক্র বল হয়। আমাদরে শরীরের মধ্যে ১১৪ টি প্রধান চক্র আছে, যার মধ্যে ২টি দেহের বাহিরে ও ৪টি সয়ং নিষ্ক্রিয় যা বাকি ১০৮ টি প্রকৃতির সাথে যুক্ত এবং এই 6টি বাদ দিলে পরে থাকে ১০৮ টি। ১০৮টি চক্রই ১০৮টি ধরনের ভিন্ন ধ্যান প্রণালীর সাথে যুক্ত। আমরা প্রতিটি প্রণালীতেই আত্ম জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারি বা পরম জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারি। প্রতিটিই চক্র এক একটি বিশেষ চেতনা ও জ্ঞানের স্তর উন্মুক্ত করে তলে সময়ের সাথে। এর মধ্যে জীবন ও চেতনা স্তরে প্রয়োজন প্রধান ৭টি চক্রের উপর আমরা কাজ করি। এই ৭টি হল মুলাধার চক্র, স্বাধিষ্ঠান চক্র , মণিপূরক চক্র, অনাহতা চক্র, বিশুদ্ধি চক্র, অঞ্জনা চক্র ও সহস্ররার চক্র মুলাধার চক্র: Muladhara chakra মুলাধার হল শরীরের প্রথম বুনিয়াদ ভিত্তি স্থাপন ও এনার্জির কেন্দ্রবিন্দু বা উত্স । এই চক্রটি আপনার মেরুদণ্ডের একদম নিচের অংশে অবস্থিত যা বলা হয় শরীরের চক্রের সূচনা বিন্দু। এই মুলাধার চক্রের রং হল রক্তিম লাল, এই চক্রটি আপনার প্রতিদিনের বেসিক চাহিদা যেমন খাওয়া দাওয়া , ঘুম বা অলসতা, সম্ভোগ ইত্যদি নিয়ন্ত্রণ করে। মুলাধার চক্রের সাধনা করলে আপনি জীবনের সমস্থ বেসিক চাহিদা গুলি থেকে মুক্তি পেয়ে পাবেন। যোগে বলা হয় যত দিন না আপনি বেসিক প্রয়োজনীয়তা উপরে আস্তে পারছেন তত দিন পশু ভিত্তিক অচরণের মধ্যেই আটকে চেতনা ও জীবন। এই মুলাধার চক্রের বীজ মন্ত্র হল “লাম-LAM”,এই মন্ত্র উচরণে এই চক্রকে কিছুটা ব্যালান্স করে। তবে পূর্ণ রূপে জগরণের জন্য সাধন বা নির্দিষ্ট ধ্যান পধুতির প্রয়োজন। স্বাধিষ্ঠান চক্র: Swadhisthana chakra দ্বিতীয় চক্র স্বাধিষ্ঠান হল শরীরের তৃপ্তি বা সন্তোষ সাধন ও চিন্তা শক্তির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু, এই চক্রটি নাভির একটু নিচের দিকে অবস্থিত ও এই চক্রের রং হল কোমলা। ঋষিরা বলেছেন এই চক্রটি আমাদের রোজকার জীবনে চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু করে শারিরীক ও মানসিক পরিতৃপ্তি নিয়ন্ত্রণ কর। স্বাধিষ্ঠান চক্রের সঠিক সাধন করতে পারেন আপনি জীবনে প্রাণবন্ত ভাবে মানুষ বাচতে পারবে। পুরাণের মতে যদি আপনি মুলাধার চক্র ও স্বাধিষ্ঠান চক্রর ব্যালান্স আনতে পারেন তবে জীবনে 70 ভাগ শরীরীরক সমস্যা থাকে মুক্তি পায়ে যাবেন। এই স্বাধিষ্ঠান চক্রের বীজ মন্ত্র হল “ভাম-VAM", এই মন্তের 108 বার সঠিক উচরনে এই চক্রটি কিছুটা ব্যালান্স হয় তবে সাধনা ছাড়া পূর্ণ জাগরণ সম্ভব না। মণিপূরক চক্র: Manipura chakra তৃতীয় চক্র মণিপূরক হল জীবনে কর্মের শক্তির কেন্দ্রবিন্দু, এই চক্রটি আমাদের নাভিতে অবস্থিত। মণিপূরক চক্রের রঙ হল হলুদ বা ইয়েলো কালারের, ঋষিরা বলেছেন চক্রটি আমাদের বিন কোন আবেগ মায়াতে না জড়িত হয়ে কর্ম করার ক্ষমতা ও শক্তি প্রদান করে এছাড়াও এই চক্রের ইত্যাদি বহু গুণ আছে । তাই মণিপূরক চক্রের সাধন খুবই কঠিন কিন্তু সবচেয়ে প্রয়োজন প্রতিটি মানুসের্ জীবনে। সাধক দের মতে কর্মের বন্ধন থেকে মুক্তি না পাওয়া গেলে মানব জিবনে সুখ ও শান্তির অবভাব চির কাল থাকবে। পূরণ অনুযাই মণিপূরক চক্রের বীজ মন্ত্র হল “রাম-RAM”, এই বীজ মন্ত্রটি নির্দিষ্ট সাধনার সাথে করা হলে এই চক্র ব্যালান্স করা সম্ভব। অনাহতা চক্র: Anahata chakra চতুর্থ চক্র অনাহতা হল জীবনে প্রেম ও ক্রিয়েটিভ শক্তির কেন্দ্রবিন্দু, এই চক্রটি আমাদের বুকের একটু নিচের দিকে অবস্থিত। এই অনাহতা চক্রের রঙ হল সবুজ, এবং এই চক্রটী আমদের সমস্থ ইমোশনের বহি-প্রকাশ থেকে শুরু করে শরীরীর সমস্থ হরমোন প্রোব্লেম ও ক্রিয়েটিভ সক্ষমতা উপর ব্যালান্স প্রদান করে। অনাহতা চক্রের সাধন পৃথিবীর সমস্থ জিনিসের সাথে প্রেম ও বাকি না প্রকাশ পাওয়া ইমোশান জীবনে পুনরায় প্রতিস্থাপন করে। ঋষিরা বলেন মানুষ কে পশুর থাকে আলাদা করে এই ইমোশন ও প্রেম, বিন এই দুই জিনিসে মানব জীবন অসফল। এই চক্রের বীজ মন্ত্র হল “য়াম-YAM”, এই মন্ত্রটি নির্দিষ্ট রীতিতে সাধনা করলে আমদের এই চক্রকে ব্যালান্স করে। বিশুদ্ধি চক্র: Vishuddha chakra পঞ্চম চক্র বিশুদ্ধি হল আমদের শরীরের বিশ বা নেগেটিভ এনার্জি ফিল্টার, এই চক্রটি আমাদের গলার মধ্য অবস্থিত। বিশুদ্ধি চক্রের রং হল গাড় নীল বা ডীপ নীল, এই চক্রটি নেগেটিভ চিন্তা, নেগেটিভ বিচার বা মন্তব্য ও সর্ব প্রকার নেগেটিভ শক্তি থেকে নিজের অন্তরের পজিটিভ ক্ষমতা কে রক্ষা করে। এই চক্রটি ব্যালান্স থাকলে সর্ব দিক থকে প্রবল ক্ষমতা শালি হয়ে উঠবেন। বিশুদ্ধি সাধন কোন সাধারণ সাধন না এর জন কঠিন সাধন প্রয়োজন। তবে এই যদি এই চক্র ব্যালান্স আমদের মানসিক ও শারিরীক দুই দিক থেকে প্রবল ক্ষমতা শালি করে তলে। এই চক্রটির বীজ মন্ত্র “হ্যাম-HAM”। এই চক্রটির পূর্ণ ব্যালান্স এর জন্য বিশেষ সাধনা ও গভীর ধ্যান শক্তির প্রয়োজন। অঞ্জনা চক্র: ষষ্ঠ হল অঞ্জনা চক্র এবং এটি সনাতন ও বিনা আবেগ মিশ্রিত চেতনা ও শান্তির কেন্দ্রবিন্দু, এই চক্রটি দুই চোখের মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত তাই চক্রকে ত্রিনেত্র বলে। এছাড়া এই চক্রের রং সাদা বা রঙ হীন কারণ, সাদা এমন এক রঙ যার মধ্যে অন্য রঙের স্পর্শ নেই। এই চক্রটি আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কে বিনা কোন আবেগ ও অনুভূতিতে জড়িত হয়ে সঠিক ভাবে বোঝার ক্ষমতা প্রদান করে। ঋষিদের মতে অঞ্জনা চক্রের সাধন জীবনে প্রতিটি জিনিসের পরম সত্যতা মানুসের কাছে তুলে ধরে, সত্যর বোধ মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্ত পূর্ণ। ও পূরণ মতে এই চক্রটির বীজ মন্ত্র “সাহ্যাম-SHAM” এই বীজ মন্ত্রটি এই চক্রটি ব্যালান্স আনতে সাহায্য করে। Sahasrara chakra সহস্ররার চক্র: এই চক্রটি পরম জ্ঞান ও পরম আনন্দ শক্তির প্রধান উত্স । এই চক্রটি আমদের মাথার ব্রহ্ম তালু তে অবস্থিত। ও এই চক্রের রঙ বেগুনি বর্ণের হয়।ঋষিদরে মতে মানুষ নিজের জীবনের শান্তিকে পরম লক্ষ ভাবে, কিন্তু এটি একটি ভুল ধারনা। এই চক্রটি ব্যালান্স হলে জীবনে সর্ব সময় আমরা পরম জ্ঞান ও আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। পুরাণে বলা হয় এই চক্রের সাধন সবচেয়ে কঠিনও তম বিষয়, যতখন না বাকি সমস্থ চক্র ব্যালান্স হছে এই সহস্ররার চক্রে পৌছ্নর কোন পথ নেই এবং যোগেও এই সহস্ররার ব্যালান্স করার কোন সহজ উপায় বলা নেই। কারণ এই চক্র হল সৃষ্ঠীর পরম জ্ঞানের দ্বার তাই এই ব্যালান্স কোন সহজ বিষয় নয়। এই চক্রের বীজ মন্ত্র “আউম-AUM” যার থেকেই সমস্থ জ্ঞানের সূচনা। Chakra Meditation : এই প্রধান 7 ক্ষমতা প্রদান করি চক্র গুলির মধ্যে সমতা সৃষ্ঠীর বিশেষ উপায় হল চক্র Meditation । এটি বিশেষ সাধনা প্রণালী যার সাহায্যে জীবন কে পূর্ণ রুপান্তরন ও পূর্ণ মানব জীবন প্রণালী সম্ভব। আসা করি অপনদরে সঠিক ইনফরর্মেশন দিতে পড়েছি । যদি কেউ Online বা Offline এ meditation শিখতে চান তবে +91 9433-657-349 নাম্বার call করুন। সুস্থ থাকতে ও আমাদের সমস্থ নতুন article আপডেট পেতে উপরে বা নিচে থাকা Bell Icon ক্লিক করুন