আমরা জানি সঠিক Meditation বডির বেনিফিট প্রচুর। কিন্তু আমার হয়ত জানিনা কিছু ছোট ছোট অজানা জিনিসের জন্য মেডিটেশানের সমস্থ উপকার থেকে কিছুটা বঞ্চিত থেকে যাছি। তাই আজ 6টি Meditation Tips বলব যার মধ্যমে সর্বাধিক উপকার পাবেন। 1. বৈদিক মুদ্রা Mudra: মুদ্রা হল ভারতীয় ঋষিদের তৈরি সর্ব শ্রেষ্ঠ পধুতির মধ্যে একটি, যার অর্থ হাতের নির্দিষ্ট ভঙ্গি বা বিশেষ কোন রূপ।যা আমাদরে সারা শরীরের বিভিন্ন এনার্জি সিষ্টেম অ্যাক্টিভেট করে, এবং যা নিজের চেতনার ও উপলব্ধির এক অন্য স্তরে পৌছতে সাহায্য করে। তাই ঋষিদের মতে Meditation এর জন্য “ধ্যান মুদ্রা” “জ্ঞান মুদ্রা” সবচেয়ে বেশি উপযোগী। ধ্যান মুদ্রা: ধ্যান অর্থ চেতনা ও মুদ্রা হাতের বিশেষ পধুটি। এক কথায় চেতনা ও বিকাশের নতুন স্তরের প্রবেশ পদ্ধতি । ধ্যান মুদ্রা পদ্ধতি : https://www.youtube.com/watch?v=0_8PHahfYys ধ্যান মুদ্রা প্রথমে আপনার দুটি হাত আপনার কোলের উপর রাখুন, নিচে বা-হাত ও তার উপর ডান হাত পরস্পর বিপরীতে। তার পর দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি গুলি একে অপরের মাথায় মাথায় স্পর্শ করান যাতে হাতের তালুর সাথে টাচ না হয়ে থাকে। সম্পুর্ন এই ভঙ্গিমা কে বলা হয় ধ্যান মুদ্রা। জ্ঞান মুদ্রা: জ্ঞান অর্থ বুদ্ধি ও মুদ্রা অর্থ হাতের এক বিশেষ পদ্ধতি। এক কথায় জ্ঞান মুদ্রা হল নিজের অন্তরে জ্ঞানের সন্ধান। জ্ঞান মুদ্রা পদ্ধতি : https://www.youtube.com/watch?v=mgj1IvxSVMk জ্ঞান মুদ্রা প্রথমে দুটি হাত কে হাটুর উপর রাখুন, এবার হাতের তর্জনী দিযে বৃদ্ধা অঙ্গুলি মাথা স্পর্শ করান। ও বাকি মধ্যমা, অনমিকা ও কনিষ্ঠা কে সমান লম্বা ভাবে রাখুন যাতে কোনও জায়গা বেন্ড না হয়। সম্পুর্ন এই ভঙ্গিমা কে বলা হয় জ্ঞান মুদ্রা। 2. যোগ আসন : যোগের জন্মদাতা মহর্ষি পতঞ্জলি জীবনের প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট আসন সৃষ্ঠী করেছিলেন। তার মধ্যে বিশেষ কিছু আসন Meditation সময় সবচেয়ে বেশি সমতা ও একাগ্রতা প্রদান করি এবং সে গুলি হল “সুখাসন”, “বজ্রাসন” ও “পদ্মাসন” । এই আসন গুলি আপনার বডির নির্দিষ্ট দেহভঙ্গি বজায় রাখতে ও শরীরে এনার্জি ব্লক থাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ খারাপ বা ভুল দেহভঙ্গি বডির মধ্যে এনার্জি ফ্লো নষ্ঠ করে, তাই মেডিটেশান করার জন্য সঠিক আসন খুবই গুরুত্ত পূর্ণ। বজ্রাসন পদ্ধতি: https://www.youtube.com/watch?v=82p0aGNJSF4 বজ্রাসন প্রথমে একটি সমতল যায়গা খুজে নরমাল ভাবে বসুন, তার পর হাটুর উপর ভর দিয়ে দাড়ান। এবার দুটি পা পিছনে মুরে এক সাথে গাযে গায়ে ঠেকান ও আস্তে আস্তে পায়ের উপর বসুন সোজা হয়ে। মারুদণ্ড সোজা রাখুন ও হাত দুটি হাটুতে বা নমস্কার ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন। এবার গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন। পদ্মাসন পদ্ধতি : https://www.youtube.com/watch?v=w_j4lnfRC38 পদ্মাসন প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন ও এবার বাঁ পা হাঁটু থেকে ভেঙে ডান থাই এর উপর এবং ডান পা একইভাবে বাঁ থাই উপর রাখুন। যতটা সম্ভব ততটা করুন প্রথমে জোর করে কোন কিছু করার দরকার নেই। এবার হাত দুটো চিৎ করে অথবা ধ্যান করার ভঙ্গিতে দু’হাঁটুর উপর রাখুন। সুখাসন পদ্ধতি: https://www.youtube.com/watch?v=ri9B8IzLXIY সুখাসন প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে নরমাল ভাবে বসুন, ও নিজের হাত দুটি নিজের দুই হাটুর উপর রাখুন। মাথা যেন সামান্য উপরের দিকে থাকে। এবং গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন। 3. নাডি শোধন প্রাণায়াম : এই প্রাণায়াম উদ্দেশ্য আমাদের শরীরে মধ্যে থাকা ৭২,০০০ হাজার নাড়ির বা জীবন শক্তির প্রবাহ নালিকর মধ্যে সমতা সৃষ্ঠী করে।এই শোধন প্রক্রিয়ার হল দুটি প্রধান নাড়ির উপর সমতা আনার প্রচেষ্ঠা। যাতে আমদের শরীরের ভিন্ন শক্তির মধ্যে ব্যালান্স বজায় থাকে। মেডিটেশানের সময় সমস্থ এনার্জি শরীরের মধ্যে পূর্ন সমতায় কাজ করলে তবেই আমরা সঠিক এফেক্ট পাবো। নাড়ি শোধন প্রণালী : https://www.youtube.com/watch?v=LqBorxxdNlI প্রথমে একটি সমতল যায়গাতে বসুন, সবচেয়ে উপকার যদি আপনি পদ্মাসনে বসতে পারেন। মেরুদণ্ড সোজা করে মাথা কিছুটা উপরে তুলে গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন। আপনার বা হাত আপনার কোলের উপর রাখুন, তার পর ডান হাত দিয়ে নাকের ডান দিক বন্ধ করুন খুব জোরে নয় আস্তে যাতে নিশ্বাস না নিতে পারেন। তার পর বা দিক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিন ৫ সেকেন্ড হোল্ড করুন। তার পর ডান হাত টা বা দিকের নাকের উপর আনুন ও ডান নাক দিয়ে নিশ্বাস ছারুন।এবার ডান নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন আবার হাত পাল্টে বা দিক দিয়ে নিশ্বাস ছারুন। 4. মেডিটেশানের দিক (Direction): ভারতের সমস্থ শাস্ত্রে দিক খুবই গুরুত্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করে তবে অনেকেই এই বেপার সম্বন্ধে জানেন না, কারণ নির্দিস্থ এক একটি দিক নির্দিস্থ কিছু বিশেষ শক্তির প্রতিনিধিত্ত করে। তার মধ্যে Meditation এর জন্য পূর্ব দিন হল উপকারী কারণ পূর্ব দিক্ সূর্য বা জীবন শক্তির সূচনার প্রতীক। ঋষিরা বলেছেন এই পূর্ব দিকে মুখ করে যদি আপনি meditation করেন তবে আপনি প্রচুর পরিমনে পজিটিভ এনার্জি পাবেন যা আমাদের জীবনে খুবই প্র্য়োজন। এছাড়া পূর্ব দিক মুখ করে ধ্যান করলে তার গভীরতা ও অনুভব সবচেয়ে প্রবল হয়। 5. মেডিটেশানের সময় Time: এই মহাবিশের সবচেয়ে শক্তিশালী বস্তু হল সময় যা আমাদরে জীবনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভারতের মুনি ঋষিরা প্রতিটিই কাজের জন্য বিশেষ সমযে ভাগ করেছেন। মেডিটেশান এর জন্য সঠিক সময় বলা হয়েছে ব্রহ্ম মুহূর্ত বা সূর্য উদয়ের আগের মুহূর্ত। এই সময় প্রকৃতি মধ্যে বিশেষ কিছু পরিবর্তণ হয় যার ফলে আমাদের বডির প্রকৃতি থাকে পজিটিভ চার্জ সংগ্রহ করতে পারে। এই সময় মেডিটেশান করলে আমরা ধ্যানের গভীর খুব সহজই প্রবেশ করতে পারি। 6. খাদ্য অভ্যাস: সবসময় মনে রাখা উচিত মেডিটেশন খালি পেটে করা উচিত বিশেষত সকালে।যদি খাবার পর meditation করা হয় তবে মাইন্ড ও বডির নিজের মধে তাল মেলর সমস্যা সৃষ্ঠী হয়। তাই সবসময় খালি পেটে মেডিটেশান করা উচিত। সুস্থ থাকতে ও আমাদের সমস্থ নতুন article আপডেট পেতে উপরে বা নিচে থাকা Bell Icon ক্লিক করুন যদি আপনার অনলাইন বা অফলাইনে meditation শিখতে চান তবে দেরি না করে এখুনি ফোন করুন এই নাম্বারে - +91-9433-657-349