yoga pose for build immunity

যোগ আসনের সাথে ইমিউনিটি বড়ানোর উপায় | 11 Yoga For Immunity in Bengali

আমাদের immunity প্রয়োজন কেন ?

আজ প্রতিটি মানুষের বোঝার সময় এসে গেছে যে আজ আমরা যুদ্ধের গুলি মিসাইল বোমার হাতিয়ারের কম, নিজের মধ্যে immunity Problem ও ভাইরাস জনিত সংক্রমনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

এত মেডিকাল সায়েন্স এত উন্নতির পরেও, মানুষের জীবন আজ বিপন্ন কারন মানুষের শরীরে immunity বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই কমে গেছে ছন্ন ছাড়া লাইফ স্টাইলের জন্য।  

এখন সময় এসে গেছে এই ব্যপারে গুরুত্ত দিয়ে চিন্তা ভাবনা করার, কারন আমার বাহিরের প্রকৃতি গত সমস্যা গুলি কনট্রোল করতে না পারলেও আমাদের আভ্যন্তরীণ শারিরীক অবস্থার স্থিতি নিজেরাই কনট্রোল করতে পারি।  

এখন প্রশ্ন হল আমরা কী ভাবে এটি করতে চাই? Starter, Main course বা Dessert মত সময় সমযে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে?

না কী naturally যোগ ব্যয়াম, প্রাণায়ামmeditation মধ্যমে নিজেকে শরীর কে ভিতর থেকে সুস্থ সবল ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে?

তাই আজ আমাদরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ 11টি  Yoga বা যোগ অভ্যাস কথা বলব যা আমরা রেগুলার বাড়িতেই নিজে ও আপনজনের সাথেই প্র্যাক্টিস করতে পারেন।


11 Yoga for Immunity

1. ভুজঙ্গ আসন (bhujangasana):

ভুজঙ্গ আসন পদ্ধতি:

সবার প্রথমে বুকের উপর চাপ রেখে হাত পা সমান করে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আস্তে আস্তে নিজের হাত দিতি ভাজ করে বুকের দুই পাশে রাখুন।

পেটের নিচের অংশ মাটিতে ঠেকিয়ে রেখে হাতে ভর দিয়ে নিজের বুকের অংশ কে মাটি থাকে উপরে তুলুন ও নিজার মুখ কে উপরের দিকে তুলে রাখুন।

উপকারিতা:

 এই আসন lungs এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এছাড়া শরীরে হরমোন ব্যালান্স করে ও সঠিক ভাবে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।

এছাড়া শরীরের কমজোর ভাব ও হাতের জয়েন্ট ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যার খুবই তাড়া-তাড়ি সমাধান করে ভুজঙ্গ আসন।ব্রেন এর মধ্যে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায় ও চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই আসন।


2. শিরশাসন (Sirsasana) :

শিরশাসন পদ্ধতি:

প্রথমে একটি সমতল যায়গা বেছে নিন, সবচেয়ে ভাল কোন দেওয়াল আছে। এর পর মাটিতে বসুন হাত দুটি মাটিতে রেখে পা দুটি দেওয়াল গায়ে রাখুন।  

এবার আস্তে আস্তে হাতের উপর ভর দিয়ে দেওয়ালের উপর পা দুটি তুলুন যতক্ষণ না পুরো পা দুটি মাথার দিকে উপরে যাছে।এই অবস্থায় হোল্ড করুন সুবিধা মত ও তার পর আস্তে আস্তে পা নবিয়ে নিন।

উপকারিতা :

 এই আসন pituitary gland যা আমদের শরীরে রক্তের মধ্যে বিভিন্ন হরমোন প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে তার উপর সমতা আনে।

যার ফলে শরীরেব হরমোন সমস্যা যেমন Thyroid, adrenalin ইত্যাদি প্রোব্লেম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এই আসন আমাদের  lymphatic সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে যার জন্য শরীর বিভিন্ন কোষের মধ্যে জমা বজ্র পদার্থ শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয়।


3. সেতুবন্ধন আসন (Setubandh asana):

সেতুবন্ধন আসন পদ্ধতি:

প্রথমে একটি সমতল যায়গা বছে নিন ও লম্বা ভাবে শুয়ে পড়ুন। এবার হাটু থাকে পা ভাজ করে নিন ও নিজের দুটি হাত কে শরীরে দুই পাশে লম্বা ভাবে টান টান করে পায়ের দিকে ছড়িয়ে রাখুন।

এবার হাতের উপর চাপ দিয়ে কোমর থাকে শরীর কে উপরে দিকে তুলুন ও হোল্ড করুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।  

উপকারিতা:

এই আসন আমাদের নার্ভের উদ্দীপনা ও ব্রেন এর মধ্যে রক্তের অক্সিজেন প্রবাহ সঠিক পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ  করে। এ আসন আমাদরে শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকা পরিমাণ বৃদ্ধি করে যাতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।  

এছাড়াও মাইগ্রানে, মাথা ব্যথা, সাইনাস ও ঘাড়ের ব্যথা ইত্যাদি প্রবলেম এর জন্য এই আসনের চেয়ে উপকারী আসন আর কিছু নেই।  


4.  হ্যালাসন (Halasana) :

হ্যালাসন পদ্ধতি:

সবার প্রথম একটি পূর্ণ্য সমতল যায়গা তে শুয়ে পড়ুন, দুটি হাত থাকবে  কোমরে দুই পাশে লম্বা ভাবে।দুটি পায়ের মধ্যে যেন কোন গ্যাপ না থাকে, ও যেন পায়ের দুটি বুড়ো আঙুল এক সাথে স্পর্শ করে থাকে।

এবার দুটি হাতের উপর ভর রেখে পা দুটি মাথার পিছন দিকে নিয়ে যান যত টা সম্ভব্ হয়  ও মাটিতে স্পর্শ করান ।লক্ষ রাখতে হবে পা যেন বেন্ড না হয় ও কোমর যেন মাথার পিছনের দিকে চলে না আসে।

উপকারিতা:

এই আসন আমাদের বডির গুরুত্ত পূর্ণ অঙ্গ যেমন হার্ট এর রক্ত সঞ্চালন করা ও স্ট্রেস হরমোন কনট্রোল করার মত গুরুত পূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

এই আসন সুগার ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরের stiffness কম করে এবং শরীরের মধ্যে ব্যালান্স বজায় রাখে।   


5. উস্তাসন (Ustrasana):

উস্ত্‍রসনা পদ্ধতি:

সবার প্রথমে একটি সমতল জায়গায় পা জোর করে বসুন, তার পর আস্তে আস্তে হাটু থাকে পা দুটি ভাজ করে হাটুর উপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাড়ান ও মেরুদণ্ড কে সোজা করুন।

তার পর আস্তে আস্তে দুটি হাত কে মাথার উপর দিয়া নিয়ে পিছনে শরীরকে বেন্ড করে পা এর পাতা গুলি কে স্পর্শ করুন যতটা সম্ভব নিজের বডি ব্যালান্স রেখে। এবার নিজেকে হোল্ড করুন এই আসনে ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।

উপকারিতা: 

এই আসন আপনার হাত ও পায়ের পেশী কে শক্ত করে, বডি কার্য ক্ষমতা ব্যালান্স  করে। হাত ও পায়ের বাত এর বাথ্যা দূর করে ও শরীরের flexibility আনে।

এই আসন শরীর থাকে অতিরিক্ত লবণ ও বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন হরমোন কেন্দ্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।   


6. শিশু আসন (Shishuasana)

শিশু আসন পদ্ধতি :

সবার প্রথমে সমতল জায়গায় বসুন, এর পর ডান পা ও বাম পা হাটু থেকে বেন্ড করুন ও হাটুর উপর ভর দিয়ে উয়াথে দাড়ান।

দুটি পা যেন পিছনে থাকে এক সাথে একে অপরের সাথে জোর লেগে, এবার পায়ের উপর বসুন ধীরে ধীরে যেন আপনার মেরুদন্ড একদম সোজা থাক। 

এর পর নিজের দুটি হাত লম্বা করে মাথার উপর তুলুন ও গভীর একটি নিশ্বাস নিন এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত সমেত উপের বডি কে মাটিতে স্পর্শ করান ও হোল্ড করুন।

উপকারিতা:

এই আসন আমাদের শরীরে স্ট্রেস কমায় ও blood circulation কে বাড়ায় ও শরীরের  কমজোর ভাব কাটায় এবং  নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।

পেটের বিভিন্ন সমস্যার উপর এই আসন দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে, ও এই আসন শরীর কে detox করতে সাহায্য করে।


 7. বৃশ্চিকাশন  (Vrischik asana):

বৃশ্চিকাশন পদ্ধতি: 

সবার প্রথমে একটি দেয়াল ধরে পিট ঠাকিয়ে বসুন।  তার পর আস্তে আস্তে হাত কে মাটি তে রাখে পা দুটি লম্বা করে আস্তে আস্তে দেয়াল দিয়ে উপরে সোজা করে তুলুন বডির সাথে।

এবার হাতে জোর দিয়ে পা কে মাথার দিকে নামিয়ে আনুন যতটা সম্ভব নিজের বডি ব্যালান্স রেখে হোল্ড করুন এই পজিশনে ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।

উপকারিতা: 

এই আসন  ব্রেন এ রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ সঠিক  করতে সাহায্য করে ও আমাদের শরীরের lymphatic সিষ্টেম সক্রিয়তার বজায় রাখতে সাহায্য করে।

যাতে শরীরের toxin বা বজ্র পদার্থ গুলি আমাদরে শরীর থেকে বাহিরে বেরিয়ে যায় ফলে শরীর সুস্থ থাকে ও বডির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে    


8.  পশ্চিমত্তান আসন  (paschimottanasana)

পশ্চিমত্তান আসন প্রণালী :

প্রথমে একটি সমতল যায়গা তে নরমাল ভাবে বসুন মেরুদণ্ড একদম সোজা করে। এর পর দুটি পা লম্বা করে ছড়িয়ে দিন, বা পাকে ভাজ করে দান পায়ে পাশে জোর করুন্।

এবার দুটি হাত দিয়ে লম্বা করে ছড়িয়ে রাখা দান পায়ের কাছে নিজের দুটি হাত কে নিয়ে যান, এর পর নিজের মাথা কে ধীরে ধীরে নিজের হাটুর সুপর স্পর্শ করান।

এই অবস্থায হাতের উপর জোর দিয়ে শরীরকে যতটা সম্ভব স্ট্রেচ করুন ও সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান।  

লক্ষ্য রাখতে হবে পা যেন কোনও যায়গা থাকে বেন্ড না হয়ে যায় ও শরীরের পিছনের অংশ মাটি স্পর্শ করে।

একই রকম ভাবে পা পরিবর্তণ করে নতুন করে প্র্যাক্টিস করুন নিজের সুবিধা অনুজাই ও আসনের সময় গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।

উপকারিতা:

এই আসন খাদ্য পরিপাকের সমস্থ হরমোন গুলি সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করে, ও লিভারের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এবং thymus অ্যাক্টিভেট করে যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।  


9. বক্রাসন (vakrasana):

বক্রাসন পদ্ধতি:

প্রথমে সমতল যায়গা উপর একটি ম্যাট উপর বসুন, ও নিজের দুটি পা সামনের দিকে ছড়িয়ে রাখুন।

এর পর ডান পা হাটু থেকে বেন্ড করে নিজের বুকের কাছে টেনে আনুন, লক্ষ রাখতে হবে পা যেন থাই থেকে দূরে না চলে যায়।

এর পর বা হাত হাটুর ডান ডিকে থেকে ঘুরিয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বা পায়ের হাটুয়ে নিচে ধরুন।  

এবার আপনার ডান হাত পিঠের সমানে রাখুন ও নিজের মাথা স্টেচ করে ডান দিকে নিয়ে যান ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিয়ে হোল্ড করুন হোল্ড করুন। আবার হাত ও পা কে পাল্টে একই ভাবে প্র্যাক্টিস করুন আপনার সুবিধা মত।

উপকারিতা:

এই আসন আমাদের পেটের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে ও শরীর কে detox করতে সাহায্য করে। বডির ব্লাড সুগার লেভেল কে কনট্রোল করতে ও পাকস্থলীর মধ্যে থাকা acid কে ব্যালান্স করে ও যারা ফ্যটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন তাদের জন্য অন্যতম উপকারী আসন এটি।  


১০. গোমুখ আসন(Gomukhasana):

গোমুখ আসন পদ্ধতি:

প্রথমে একদম সমতল যায়গা খুজে বসুন একদম মেরুদণ্ড সোজা করে নরমাল ভাবে, এবার আপনার বা হাটু ভাজ করে রাখুন ও ডান পা লম্বা করে ছরান ও বা পায়ের উপর দিয়ে বাজ করে নিন।

লক্ষ্য রাখবেন দুটি হাটু মাথা সমান সমান ভাবে থাকে, তার পর নিজের বা হাত কনুই থাকে বেন্ড করে পিঠের পিছনে নিয়ে যান।

তার পর নিজের ডান হাত কনুই থেকে বেন্ড করে মাথার উপর থেকে নিচের দিকে নাবিয়ে আনুন ও নিজের বা হাত কে ধরুন ও গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।

তার পর একই ভাবে হাত পাল্টে ও পা পাল্টে আবার প্র্যাক্টিস করুন নিজের সুবিধা অনুজাই ও শরীরের নমনীয়তা অনুজাই।

উপকারিত:

এই আসন শরীরের নমনীয়তা ও হাত ও পায়ের নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ও শরীরের ক্লান্তি বা স্ট্রেস দূর করে এই আসন।

এছাড়াও এই আসন পেটের সমস্যা যেমন হজম না হওয়া গ্যাস অম্বল অ্যাসিড এর সমস্যা সমাধান করে এই আসন।


11. বিপরীত করণি:

বিপরীত করণি পদ্ধতি:

প্রথমে এমন একটি সমতল যায়গা বছে নিন যার কাছেই দেওয়াল আছে, এই জায়গাতে শুয়ে পড়ুন লম্বা ভাবে। এবার নিজের দুটি হাত শরীর থেকে দূরে রাখুন একদম লম্বা করে ও হাত কে উপর করে।

এবার পা দুটি লম্বা করে দেওয়ালে তুলুন যাতে কোমরের নিচের অংশ দেওয়ালে টাচ করে থাকে এবং গভীর ভাবে নিশ্বাস নিন।   

উপকারিতা:

এই বিপরীত করণি আসন আমাদের ডায়াস্টলিক(diastolic) ব্লাড প্রেসারকে কমায় ও আমাদরে শরীরে মধ্যে cortisol লেভেল কমায় এবং শ্বেত রক্ত কণিকার প্রবাহ মাত্র সঠিক ভাবে ব্যালান্স করে।এছারও শরীরে স্ট্রেস হরমোন ও সুগার জন্য ইনসুলিন হরমনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।  


সুস্থ থাকতে ও আমাদের সমস্থ নতুন article আপডেট পেতে উপরে বা নিচে থাকা Bell Icon ক্লিক করুন

meditation class signup

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *